নাইকোসিয়া, ১৯ নভেম্বর– চোখের সামনে স্ত্রীকে মৃত্যুশয্যায় কাতরাতে দেখে সহ্য করতে পারেননি বৃদ্ধ। আর তাই স্ত্রীর ইচ্ছাপূরণের জন্যেই তাঁকে যন্ত্রণাবিহীন মৃত্যু উপহার দিয়েছেন তিনি। কিন্তু আইনের চোখে তিনি অপরাধী। যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা লঘু করতে আদালতে লড়ছেন তাঁর আইনজীবীরা।
ঘটনাটি সাইপ্রাস দ্বীপের। ৭৫ বছর বয়সি ব্রিটিশ বৃদ্ধ ব্রিটন ডেভিড হান্টার এবং তাঁর স্ত্রী সাইপ্রাসেই থাকতেন। দীর্ঘ পঞ্চাশ বছরের দাম্পত্যে ছেদ পড়েছে বছর খানেক আগে। বৃদ্ধের স্ত্রী দুরারোগ্য লিউকোমিয়া রোগে ভুগছিলেন। রোগযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে তিনিই স্বামীর কাছে মৃত্যুভিক্ষা চেয়েছিলেন বলে দাবি। স্ত্রীর কথা রাখতে তাই ওই বৃদ্ধ স্ত্রীকে খুন করেন। এটাই সাইপ্রাসের প্রথম ইউথেনেসিয়া বা যন্ত্রণাহীন হত্যার ঘটনা। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে বৃদ্ধকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রায় এক বছর জেল হেফাজতে থেকেছেন অভিযুক্ত বৃদ্ধ। স্ত্রীকে খুন করার পর তিনি নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তার পর পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। পুলিশকে বৃদ্ধ জানিয়েছেন, স্ত্রীর ইচ্ছাপূরণ করতেই তাঁকে খুন করেছেন তিনি। তাঁর স্ত্রী ক্যানসারের প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন। রোগযন্ত্রণা আর সহ্য করতে না পেরে স্বামীর কাছে শেষ উপহার হিসাবে চেয়েছিলেন যন্ত্রণাহীন হত্যা। স্ত্রীকে তিনি অত্যন্ত ভালবাসতেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন বৃদ্ধ।
সাইপ্রাসের আদালতে তিনি সাজা লাঘবের আবেদন জানিয়েছেন। সেই শুনানি চলছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না হলেও পরিকল্পিত ভাবে স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে অন্তত ২৫ বছরের কারাদণ্ড তাঁকে ভোগ করতে হতে পারে।