• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

টোটো চালিয়ে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে তমা 

হুগলি,১৯ নভেম্বর — সবাই মুখে সোনার চামচ নিয়ে জন্মায় না, যারা খুব অভাবে কষ্টের মধ্যে বড় হয়।তারা জানে যে তাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।অন্যান্য মেয়েদের মতো সাজগোজ,ঘোরা ,বিয়ে এইসমস্ত থেকে অনেক দূরে মেয়েটির সপ্ন ছিল পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।এই স্বপ্ন ছোট থেকেই ছিল তাঁর।কিন্তু স্বপ্নপূরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাড়ির আর্থিক অবস্থা। উচ্চশিক্ষার খরচ

হুগলি,১৯ নভেম্বর — সবাই মুখে সোনার চামচ নিয়ে জন্মায় না, যারা খুব অভাবে কষ্টের মধ্যে বড় হয়।তারা জানে যে তাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।অন্যান্য মেয়েদের মতো সাজগোজ,ঘোরা ,বিয়ে এইসমস্ত থেকে অনেক দূরে মেয়েটির সপ্ন ছিল পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।এই স্বপ্ন ছোট থেকেই ছিল তাঁর।কিন্তু স্বপ্নপূরণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বাড়ির আর্থিক অবস্থা। উচ্চশিক্ষার খরচ চালানোর সামর্থ্য বাবার নেই।বাবার পুরনো টোটোটা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই নিজের স্বপ্নপূরণ করতে শেষ অবধি নতুন টোটোই  কিনে ফেললেন শ্রীরামপুর কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী  হুগলির  চাঁপদানীর বাসিন্দা তমা দত্ত।

ছোট বেলা থেকেই ভীষণ পরিশ্রমি তমা। পরিবারের ভার কাঁধে তুলে নিতে একেবারে পিছপা নন তমা।সে বাবার সঙ্গে আগেও বেশ কয়েকবার সেই পুরোনো টোটো চালিয়েছেন তমা। কিন্তু সেটি খারাপ হতেই দুশচিন্তায় পড়ে সে । কোত্থেকে আবার নতুন টোটো কেনার টাকা জোগাড় হবে! এমন সময় তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন চাঁপদানী পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ মিশ্র, এলাকার বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন। এর সঙ্গে তমা যোগ করেন মায়ের গয়না বিক্রির টাকা ও নিজের স্কলারশিপের টাকা।

এরপরই শনিবার চুঁচুড়ায় হুগলি মোটরস-এর শোরুমে এসে নতুন টোটো কিনলেন তমা। হুগলি মোটরস-এর কর্ণধার শেখ নাসিরুদ্দিনও তমার লড়াইয়ের গল্প শুনে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন। টোটোর দামে বেশ কিছুটা ছাড় দিয়েছেন তিনি। সবার সাহায্যে এবং নিজের উপর ভরসা রেখে অবশেষে টোটো কিনতে পেরে খুশি তমা নিজেও। এবার তাঁর লক্ষ্য টোটো চালিয়ে সংসারের হাল ধরা এবং পড়াশোনা শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়ানো।