মুম্বাই, ১৭ নভেম্বর– বেশ কয়েক বছর ধরেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ বেবি পাউডার । গত আগস্টে গোটা বিশ্বেই তাদের এই পণ্য বিক্রি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গিয়েছিল সংস্থাকে। তারা জানিয়েছিল, ২০২৩ সাল থেকে আর বেবি পাউডার বিক্রি করবে না তারা। এই অবস্থায় বম্বে হাই কোর্ট জানিয়ে দিল, মহারাষ্ট্রের মুলুন্দে তাদের কারখানায় ‘নিজেদের ঝুঁকি’তে তারা পাউডার উৎপাদন চালিয়ে যেতে পারবে। কিন্তু কোনও ভাবেই তা বিক্রি ও সরবরাহ করতে পারবে না
উল্লেখ্য, এর আগে আমেরিকার এক আদালত সংস্থাকে ১৫ হাজার কোটি টাকার জরিমানার ‘সাজা’ দিয়েছিল। আদালতের বক্তব্য ছিল, সংস্থাটি শিশুদের পণ্য নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে। বিচারক এমনও জানিয়েছিলেন, এই অপরাধের শাস্তি কেবল অর্থের জরিমানাতেই শেষ হতে পারে না।
সরকার তাদের লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়ার পরই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পাউডার নির্মাতা সংস্থা। সেই মামলারই শুনানিতে বিচারপতি এস ভি গঙ্গাপুরওয়ালা ও বিচারপতি এস জি দিগে এই রায় দিয়েছে। মহারাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ তথা এফডিএ আগেই ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ বেবি পাউডারের বিক্রি ও সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সেই নির্দেশ মেনেই আদালতও একই রায় দিল। পাশাপাশি উচ্চ আদালত জানিয়েছে, পাউডারের নমুনা নতুন করে পরীক্ষা করতে হবে। এবং সেটাও করতে হবে ২ সপ্তাহের মধ্যে। আদালত এফডিএকে জানিয়েছে দুটি সরকারি ও একটি বেসরকারি ল্যাবরেটারিতে তা পরীক্ষা করতে হবে।
উল্লেখ্য, ১৮৯৪ সাল থেকে ‘জনসন অ্যান্ড জনসন’ বেবি পাউডার বিক্রি হয়ে চলেছে। পরিবারবন্ধুর প্রতীক হয়ে ওঠায় সংস্থার প্রতীকী পণ্য হয়ে উঠেছিল এটিই। কিন্তু আমেরিকার ৩৫ হাজার মহিলা জরায়ুর ক্যানসারের জন্য ওই সংস্থাকে দায়ী করে মামলা দায়ের করার পর থেকেই মার্কিন মুলুকে ক্রমেই কমে যাচ্ছিল পাউডারটির চাহিদা।