আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ‘ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ ওয়ার্কিং গ্রুপ’ বা ইউপিআর-এ ভারতে প্রচলিত যোনিচ্ছেদ প্রথা নিয়ে সরব হয় কোস্টারিকা। ১০ সেপ্টেম্বর জেনেভায় হওয়া ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপের ৪১ তম মানবাধিকার মূল্যায়ন বৈঠকে নয়াদিল্লির কাছে বেশ কয়েকটি আবেদন জানিয়েছে সান হোসে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, যোনিচ্ছেদ প্রথাকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা। একইসঙ্গে, এই প্রথাকে সমূলে উচ্ছেদ করতে জাতীয় স্তরে পরিকল্পনা গ্রহণের জন্যও ভারতের কাছে আরজি জানিয়েছে কোস্টারিকার প্রতিনিধি দল।
উল্লেখ্য, বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশে যোনিচ্ছেদ প্রথা রয়েছে। এদের অধিকাংশই আফ্রিকা মহাদেশে এবং মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশেও এই প্রথা চলছে। তবে এই দেশগুলিতে মূলত দাউদি বহরা মুসলমানদের মধ্যে যোনিচ্ছেদ প্রথার প্রচলন রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এদের পূর্বপুরুষরা ইয়েমেন থেকে আগত। তবে শুধু এশিয়া বা আফ্রিকা নয়, আমেরিকা এবং ইউরোপেও এই প্রথা গোপনে পালন করার নজির রয়েছে। ভারতে দীর্ঘদিন ধরেই যোনিচ্ছেদ প্রথা বন্ধ করার দাবি উঠছে।
বলে রাখা ভাল, ইউনিভার্সাল পিরিওডিক রিভিউ বা ইউপিআর হচ্ছে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের একটি প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলি একে অপরের মানবাধিকার রেকর্ডের মূল্যায়ন করতে পারে এবং প্রয়োজনে নির্দিষ্ট বিষয়ে পদক্ষেপ করার আরজিও জানতে পারে। এছাড়া, মানবাধিকার রক্ষায় কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে বা হবে, সেই সমস্ত কথাও এখানে তুলে ধরতে পারে সদস্য দেশগুলি।