• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বাঁচার পথ খুঁজে না পেয়ে নিজের মুখেই খুনের স্বীকারোক্তি আফতাবের 

দিল্লি ,১৫ নভেম্বর —লিভ ইন পার্টনারকে নৃশংসভাবে খুন করার পরও থামে নি সে।তার নিথর টুকরো করা দেহ গুলোকে ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিনের পর দিন চালিয়ে গেছে অন্যান্য মেয়েদের সাথে সম্পর্ক।দিল্লির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের  ঘটনা গোটা দেশকে এক কথায় নাড়িয়ে দিয়েছে।লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারকে  প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা  শ্বাসরোধ করে খুন করার পর ৩৫ টুকরোয় কেটে ছড়িয়ে

দিল্লি ,১৫ নভেম্বর —লিভ ইন পার্টনারকে নৃশংসভাবে খুন করার পরও থামে নি সে।তার নিথর টুকরো করা দেহ গুলোকে ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিনের পর দিন চালিয়ে গেছে অন্যান্য মেয়েদের সাথে সম্পর্ক।দিল্লির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের  ঘটনা গোটা দেশকে এক কথায় নাড়িয়ে দিয়েছে।লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধা ওয়াকারকে  প্রেমিক আফতাব আমিন পুনাওয়ালা  শ্বাসরোধ করে খুন করার পর ৩৫ টুকরোয় কেটে ছড়িয়ে দিয়েছিল দিল্লির নানান প্রান্তে। শনিবার থেকে থানার জেলের মধ্যে রয়েছে আফতাব।পুলিশি জেরার মুখে শ্রদ্ধাকে খুনের কথা স্বীকার করে সে।

পুলিশি জেরায় আফতাব স্বীকার করেছে, শ্রদ্ধার সঙ্গে অশান্তির জেরেই খুন করার পরিকল্পনা করে সে। তারপর খুনের প্রমাণ লোপাট করবে কীভাবে সেই আইডিয়া আসে আমেরিকার জনপ্রিয় অপরাধমূলক ওয়েবসিরিজ ডেক্সটার দেখে।কিন্তু সিরিজের পর্দায় যেটা দেখেছে, বাস্তবে তা করতে গিয়ে বিপাকে পরে আফতাব।কীভাবে শ্রদ্ধার দেহ কাটবে, তা জানতেই সাহায্য নেয় গুগলের।নিজের মুখে স্বীকারোক্তি দে যে শ্রদ্ধা কে খুন করার পর ,তার দেহ ফ্রিজ রেখে দেয় সে। এবং বাড়িতে অত্র বন্ধুদের আনাগোনা ও ডেটিং আপের সাহায্যে বিভিন্ন মেয়ের সাথে সম্পর্ক করে সে। 

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারা  যায়, অন্যান্য মেয়েদের সাথে সম্পর্ক ছিল আফতাব নামে ছেলেটির এবং এটি শ্রদ্ধার পছন্দ ছিল না।সোমবার রাতে আফতাবের মোবাইল, ল্যাপটপ সহ সমস্ত ইলেকট্রনিক গ্য়াজেট বাজেয়াপ্ত করে দিল্লি পুলিশ। সেগুলো ঘাঁটাঘাঁটি করে পুলিশ জানতে পারে গুগলে ঠিক কী কী সার্চ করেছিল আফতাব।যত সময় যাচ্ছে এই হত্যাকাণ্ডে একের পর এক তথ্য উঠে আসছে।ধীরে ধীরে গোটা বিষয়টা স্পষ্ট হচ্ছে পুলিশের সামনে।

খুনের হাত থেকে বাঁচার সবরকম চেষ্টা করেছিল আফতাব।কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না তার।শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে নতুন কেনা ফ্রিজে সাজিয়ে রেখেছিল আফতাব।ঘরের মধ্যে ছিটিয়ে পড়ে থাকা রক্তের দাগ মুছতে ব্যবহার করে সালফার হাইপোক্লোরাইট। এমনকী যাতে এই খুনের তদন্তে কোথাও তাঁর ডিএনের হদিশ না পায় পুলিশ, তাও গুগলে খুঁজেছে সে।তারপর ১৮ দিন ধরে ৩৫টি টুকরো ফেলে দিয়ে আসে শহরের নানা প্রান্তে। আদালত আফতাবকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে।