দিল্লি, ১২ নভেম্বর– সন্ত্রাসে আর্থিক সহায়তা বন্ধের উদ্দেশ্যে আগামী ১৮-১৯ নভেম্বর দিল্লিতে ‘নো মানি ফর টেরর’ (এনএমএফটি) শীর্ষক সভার আয়োজন করেছে মোদি সরকার। তাতে মোট ৮৭টি দেশের যোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু সভার আগেই নানা অজুহাতে অংশগ্রহণে না করেছে প্রায় ১৪টি দেশ। কোনও দেশের যুক্তি ভোট। কারও বা আসন্ন ফুটবল বিশ্বকাপ। এমনই নানা ‘অজুহাতে’ আগামী সপ্তাহে দিল্লিতে আয়োজিত সন্ত্রাস বিরোধী সভায় গরহাজির থাকার কথা জানিয়েছে তারা।
সন্ত্রাসে আর্থিক সহায়তা বন্ধের উদ্দেশ্যে আগামী ১৮-১৯ নভেম্বর দিল্লিতে ‘নো মানি ফর টেরর’ (এনএমএফটি) শীর্ষক ওই সভা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ওই সভায় থাকবেন অমিত শাহ। ২০১৮ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে প্রথম এই আন্তর্জাতিক বৈঠক হয়েছিল। দ্বিতীয় বৈঠক হয় ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে। ২০২০ সালে এনএমএফটি-র তৃতীয় বৈঠক ভারতে হওয়ার কথা থাকলেও অতিমারি পরিস্থিতির কারণে তা দু’বছর পিছিয়ে গিয়েছিল।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স’ (এফএটিএফ)-এর ধূসর তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে পাকিস্তানের নাম। জঙ্গি কার্যকলাপে অর্থ জোগানের অভিযোগে, গত চার বছর অভিযুক্ত পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাতে রাখা হয়েছিল। কিন্তু গত এক বছরে ইসলামাবাদ সন্ত্রাসে আর্থিক মদত রুখতে সক্রিতা দেখিয়েছে বলে রাষ্ট্রপুঞ্জ, আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএফ), বিশ্ব ব্যাঙ্ক, ‘এগমন্ট গ্রুপ অফ ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’-সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে রায় দিয়েছেন।
এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপুঞ্জে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি। এই পরিস্থিতিতে এনএমএফটি বৈঠকেও প্রসঙ্গটি নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রের খবর, মোট ৮৭টি দেশ এবং ২৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থাকে বৈঠকে যোগদানের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত ৫০টি দেশের তরফে সম্মতি এসেছে। কাতার জানিয়েছে বিশ্বকাপের কারণে তারা সন্ত্রাস বিরোধী বৈঠকে যোগ দেবে না। ইরাকের দাবি, সে দেশে ভোটের আয়োজন চলছে। ফলে কোনও প্রতিনিধি আসবেন না এনএমএফটি বৈঠকে।