জয়পুর, ৮ নভেম্বর– প্রেম কি না করায়? তাই প্রমাণ হল রাজস্থানের ভরতপুরে একটি স্কুলের এই ঘটনায়। স্কুলের ক্লাসেই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেম হয়েছিল। সেই প্রেম বিয়ে পর্যন্ত গড়াতে লিঙ্গ পরিবর্তন করতে হল ‘প্রেমিক’কে। কারণ আদতে তিনি ছিলেন মহিলা শিক্ষিকা।
শিক্ষিকা মীরা থেকে পুরুষ হয়ে ওঠা আরভ কুন্তল অবশ্য ভালবাসার ছাত্রীকে বিয়ে করার পরে বলছেন, ‘ভালবাসায় সবই সুন্দর!’
রবিবারই বিয়ে হল মীরা তথা আরভ কুন্তল এবং কল্পনা ফৌজদারের। মীরার সঙ্গে কল্পনার দেখা এবং আলাপ স্কুলের ফিজিক্যাল এডুকেশন ক্লাসে। কল্পনা রাজ্যস্তরের কবাডি খেলোয়াড়। আগামী মাসে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে দুবাই যাওয়ার কথা তাঁর। কল্পনাকে ট্রেনিং দিতেন মীরা। সেই সময় থেকেই কল্পনার প্রতি তীব্র টান অনুভব করতে থাকেন তিনি।
মীরা জানিয়েছেন, তাঁর মধ্যে পুরুষালি সত্তা আগে থেকেই ছিল। তিনি মেয়ে হয়ে জন্মালেও, মন থেকে পুরুষদের মতোই ছিলেন। শরীরেও তেমনটাই চাইতেন। তাঁর কথায়, ‘আমি সবসময় নিজেকে একটা ছেলে ভাবতাম। ইচ্ছাও ছিল লিঙ্গ পরিবর্তন করার। কিন্তু কল্পনাকে ভালবাসার পরে সে ইচ্ছা আরও জোরদার হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে আমি প্রথম অস্ত্রোপচারটি করাই।’ এর পরে আরও কয়েকটি অস্ত্রোপচারের পরে পুরোপুরি ছেলে হয়ে ওঠেন তিনি। নাম পরিবর্তন করে আরভ কুন্তল হয়ে ওঠেন তিনি।