বেঙ্গালুরু, ৩ নভেম্বর– রাহুল গান্ধির ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ কেরলে তুমুল সাফল্য পেয়েছে। কংগ্রেস হাইকমান্ডের যাবতীয় প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছে দক্ষিণের ওই রাজ্যে। সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি যাত্রায় রাজ্য কংগ্রেসের ঐক্যের চিত্র।সেই কেরলে কি এবার তাহলে পাল্টাতে চলছে সরকারের ছবি।
যদিও কংগ্রেসকে বলা হয় লেট লতিফের দল। এই দলে ১৮ মাসে বছর। এভাবেই ১৩৭ বছর কাটিয়ে দিয়েছে দলটি। কিন্তু কংগ্রেসের নতুন সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের যুগে রাজ্যে পাল্টাবে কংগ্রেসের চলচিত্র।
আগামী বছর এপ্রিল-মে নাগাদ সেখানে বিধানসভার ভোট। এখন থেকেই সে জন্য প্রার্থী তালিকা তৈরির কাজে লেগে পড়েছে দল।
আজকালের মধ্যে গুজরাত বিধানসভার ভোটের নির্ঘণ্টও প্রকাশিত হবে। অথচ, এখনও সেখানে প্রার্থী তালিকা তৈরি করে উঠতে পারেনি রাজ্য কংগ্রেস। কিন্তু বসে নেই কর্নাটকের হাত চিহ্নের নেতারা। প্রার্থী তালিকা তৈরির পাশাপাশি তাঁরা ভোটের খরচ তুলতে অর্থ সংগ্রহে লেগে পড়েছেন।
কংগ্রেসের প্ল্যান হল, হাত চিহ্নের প্রার্থী হতে গেলে কংগ্রেস সভাপতির কাছে দরখাস্ত করতে হবে। দরখাস্তের ফর্ম কিনতে হবে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে। সঙ্গে দিতে হবে দু’লাখ টাকার ব্যাঙ্ক ড্রাফট। ওই টাকা কংগ্রেসকে দেওয়া চাঁদা হিসাবে গণ্য করা হবে। ফলে প্রার্থী নির্বাচিত না হলেও ফেরৎ পাওয়া যাবে না ওই অর্থ। তফসিলি জাতি, উপজাতিদের জন্য ফর্মের দাম আড়াই হাজার টাকা।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার বলেন, এছাড়া আর উপায় কী! ইলেকটোরাল বন্ডের টাকা সব বিজেপির তহবিলে জমা পড়ছে। প্রচারের খরচ তুলতে এছাড়া আর উপায় ছিল না।
শিবকুমার জানান, এই বাবদ জমা অর্থের কিছুটা প্রদেশ কংগ্রেসের নতুন ভবন তৈরির কাজেও ব্যবহার করা হবে। কংগ্রেস নেতাদের ধারণা, টাকার অঙ্ক মন্দ হবে না। এবার কংগ্রেসের প্রার্থী হতে ভালই সাড়া মিলবে। এখনই কংগ্রেসের নেতাদের পাশাপাশি নাগরিক সমাজের অনেকেই প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কংগ্রেসের প্ল্যান হল, বেশ কিছু আসনে সমাজের বিশিষ্টদের টিকিট দেওয়া হবে। রাহুলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় কর্নাটকেই নাগরিক সমাজের বিশিষ্টদের বড় সংখ্যায় পা মেলাতে দেখা গিয়েছে।