পথে নেমে সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবাদের রাস্তায় নেমেছে তৃণমূল। সাতদিনের মধ্যে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। এদিকে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিপিএম নেতা মানিক সরকারও রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নে তোপ দেগে বলেছেন, শাসক বিজেপির তাণ্ডবে ধর্ষণ নগরীতে পরিণত হয়েছে গোটা ত্রিপুরা। এরই মধ্যে উপজাতি দল তিপ্রা মোথা ‘খেলা হবে’ স্লোগান তুলে মিছিল করেছে। সব মিলিয়ে উত্তপ্ত গোটা ত্রিপুরা।
জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে উনকোটি জেলার কুমারঘাটে একটি তিনতলা বাড়িতে ১৬ বছরের ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়। ত্রিপুরার সিপিএম এবং কংগ্রেসের অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে সেখানকার এক মন্ত্রীর পুত্র জড়িত। ওই অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা। ওই নাবালিকার মায়ের দাবি, তঁার মেয়েকে সেখানকার একটি তিনতলা বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন এক মহিলা। সেখানেই তঁার মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। তাঁর দাবি, যে মহিলা মেয়েকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল, সে তাঁদের প্রতিবেশী।
অন্যদিকে, ২৫ তারিখ খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া এলাকার কল্যাণপুরে নাবালিকা ধর্ষণে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা নেয় পুলিশ। উত্তর ত্রিপুরা জেলার ত্রিপুরা-অসম সীমান্তের কদমতলা থানা এলাকাতেও ১৫ বছরের এক নাবালিকাকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত চারজন।
ত্রিপুরায় তৃণমূলের ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও মিছিলে ছিলেন সাংসদ সুস্মিতা দেব, প্রদেশ যুব তৃণমূল সভাপতি শান্তনু সাহা। সুস্মিতা বলেন, ‘‘সাতদিনের মধ্যে তিনটি গণধর্ষণ হয়েছে ত্রিপুরায়। পুলিশ এফআইআরও নিচ্ছে না। একটি ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তর তালিকায় নাম উঠে এসেছে মন্ত্রীপুত্রের। কিন্তু এফআইআরে তার নাম নেই।’’ কল্যাণপুরে নাবালিকা ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে জাতীয় সড়কও অবরোধ করা হয়। কুমারঘাটেও এদিন ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্তরে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দু’দিন ধরে থানা ঘেরাওয়ের কর্মসূচিও নেওয়া হয়।