• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

২২ বিধায়কের শিন্ডে শিবিরে যোগদানের দাবি উদ্ধবের 

মুম্বাই, ২৫ অক্টোবর– মহারাষ্ট্রের ২২ জন ক্ষুব্ধ বিধায়ককে নিয়ে ‘সামনা’ লেখা নিয়ে উত্তাল রাজনৈতিক মহল। মুখ‌্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে শিবিরের ৪০ জন বিধায়কের মধ্যে ওই ২২ জন খুব শীঘ্রই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। শিব সেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের মুখপত্র ‘সামনা’য় এমনই দাবি করা হয়েছে, যা নিয়ে বর্তমানে সে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। ‘সামনা’র ‘রোকঠোক’

মুম্বাই, ২৫ অক্টোবর– মহারাষ্ট্রের ২২ জন ক্ষুব্ধ বিধায়ককে নিয়ে ‘সামনা’ লেখা নিয়ে উত্তাল রাজনৈতিক মহল। মুখ‌্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে শিবিরের ৪০ জন বিধায়কের মধ্যে ওই ২২ জন খুব শীঘ্রই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। শিব সেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের মুখপত্র ‘সামনা’য় এমনই দাবি করা হয়েছে, যা নিয়ে বর্তমানে সে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে।

‘সামনা’র ‘রোকঠোক’ কলামে দাবি করা হয়েছে, একনাথ শিণ্ডেকে ‘অস্থায়ীভাবে’ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে। মুখপত্রে বলা হয়েছে, “এখন সকলেই বুঝে গিয়েছে, যে কোনও সময় শিণ্ডের মুখ্যমন্ত্রিত্ব চলে যেতে পারে। শিণ্ডে শিবিরের আন্ধেরি পূর্বের উপনির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া উচিত ছিল, কিন্তু বিজেপির  জন্যই তারা সেটা করেনি।” 

শুধু তাই নয়। ‘সামনা’র বিশ্লেষণ অনুযায়ী, “শিণ্ডে শিবির মহারাষ্ট্রে গ্রাম পঞ্চায়েত ও সরপঞ্চ নির্বাচনে যে সাফল্যের দাবি করছেন, তা ভিত্তিহীন। শিণ্ডে শিবিরের ২২ জন বিধায়ক অখুশি, ক্ষুব্ধ। এঁদের সিংহভাগ অচিরেই বিজেপির সঙ্গে মিশে যাবে।” উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের মুখপত্রের আরও দাবি, শিণ্ডে মহারাষ্ট্রের প্রভূত ক্ষতি করেছেন। আর তাই মহারাষ্ট্রবাসী তাঁকে কোনওদিন ক্ষমা করবে না। বিজেপি শিণ্ডেকে নিজেদের সুবিধার জন্য চিরকাল ব্যবহার করবে। ‘সামনা’র ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, “সরকারের সব সিদ্ধান্তই বর্তমানে উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস গ্রহণ করেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে একনাথ শিন্ডের কাজ কেবল সেই সিদ্ধান্তগুলি ঘোষণা করা।”

আসলে সদ্যসমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মহারাষ্ট্র জুড়ে ভাল ফল করেছে শিব সেনার উদ্ধব শিবির। যা দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করেছে। গত কয়েক সপ্তাহে শিণ্ডে শিবির থেকে বেশ কয়েক জন নেতা উদ্ধব  শিবিরে যোগও দিয়েছেন। তাতেই উৎসাহী উদ্ধব ঠাকরে। যে কোনও প্রকারে শিণ্ডে শিবিরকে দুর্বল এবং বিজেপির অংশ হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করছেন তিনি। যদিও উদ্ধবের দাবি পুরোপুরি যুক্তিহীন, সেটাও বলছে না রাজনৈতিক মহল।