• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

পাক জঙ্গিকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণায় ফের বাধা চিন, রাষ্ট্রসংঘে ভারতের বিরোধিতা 

দিল্লি, ১৯ অক্টোবর– একবার দুবার নয় পরপর চারবার ভারতের প্রস্তাবে বাধা দিল চিন। তও শাহিদের মত পাকিস্তানী জঙ্গিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার ক্ষেত্রে। রাষ্ট্রসংঘে ফের ভারতের বিরোধিতায় চিন। পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীকে নিষিদ্ধ করতে চেয়ে ভারতের প্রস্তাব খারিজ করে দিল বেজিং। লস্কর জঙ্গি শাহিদ মাহমুদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসাবে ঘোষণা করার প্রস্তাবেই বাধা দেয় চিন। প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার

দিল্লি, ১৯ অক্টোবর– একবার দুবার নয় পরপর চারবার ভারতের প্রস্তাবে বাধা দিল চিন। তও শাহিদের মত পাকিস্তানী জঙ্গিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার ক্ষেত্রে। রাষ্ট্রসংঘে ফের ভারতের বিরোধিতায় চিন। পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীকে নিষিদ্ধ করতে চেয়ে ভারতের প্রস্তাব খারিজ করে দিল বেজিং। লস্কর জঙ্গি শাহিদ মাহমুদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসাবে ঘোষণা করার প্রস্তাবেই বাধা দেয় চিন। প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার মাথা সাজিদ মীরের অন্যতম প্রধান সহযোগী ছিল এই শাহিদ। ভারতে জঙ্গি হামলা চালানোই তার একমাত্র পরিকল্পনা, এমন কোথাও শোনা গিয়েছে শাহিদের মুখে।

লস্কর-ই-তইবার অন্যতম নেতা শাহিদ মাহমুদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসাবে ঘোষণা করতে চেয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যৌথ প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকা ও ভারত। আল কায়দাকে নিষিদ্ধ করার আইনের আওতাতেই শাহিদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসাবে ঘোষণা করতে উদ্যোগী হয়েছিল ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র । কিন্তু সেই প্রস্তাবে বাধা দেয় চিন। ফলে শাহিদ মাহমুদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীর তকমা দেওয়া নিয়ে আলোচনাই করতে পারেনি রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলি।

কান্দাহার বিমান অপহরণ কাণ্ডের মূল চক্রী আব্দুল রউফ আজহারকে কিছুদিন আগেই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করতে চেয়ে যৌথ প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত ও আমেরিকা। সেখানেও একইভাবে বিরোধিতা করেছিল চিন। জুন মাসে লস্কর প্রধান হাফিজ সইদের শ্যালক মক্কিকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল ভারত। কিন্তু চিনের বিরোধিতায় ভারতের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। লাগাতার এই ধরনের ঘটনা থেকে পরিষ্কার, পাকিস্তানি জঙ্গিদের আড়াল করতে সবসময় সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে চিন।

তবে বেজিং-এর এই ভূমিকায় বারবার সমালোচনা করেছে ভারত। চলতি বছরের ব্রিকস সম্মেলনেও নাম না করে চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিংকে বিঁধেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছিলেন, সন্ত্রাসবাদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সারা পৃথিবীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে একযোগে লড়াই করতে হবে। দেশের সংকীর্ণ রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে হবে। তবে মোদির এই আহ্বানে চিন যে সাড়া দেয়নি, সেটা রাষ্ট্রসংঘে তাদের আচরণেই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।