• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

প্রয়াত সাহিত্যিক অদ্রীশ বর্ধন

রহস্য- রোমাঞ্চ-এর ঝুলি সাজিয়ে,একাধিক গোয়েন্দা সিরিজ রচয়িতা অদ্রীশ বর্ধনের জীবনাবসান হল গতকাল রাত ১টায়।নীলরতন সরকার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

সাহিত্যিক অদ্রীশ বর্ধন(ছবি-ফেসবুক)

রহস্য- রোমাঞ্চ-এর ঝুলি সাজিয়ে,একাধিক গোয়েন্দা সিরিজ রচয়িতা অদ্রীশ বর্ধনের জীবনাবসান হল গতকাল রাত ১টায়।নীলরতন সরকার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

বেশ কিছুকাল বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর।প্রাইভেট কোম্পানীতে পারচেজ ম্যানেজার হিসাবে জীবন শুরু করলেও চাকরিতে ইতি টেনে তিনি গোয়েন্দা সিরিজ এবং কল্পবিজ্ঞান গল্প লিখতে আরম্ভ করেন।গোয়েন্দা ইন্দ্রনাথ রুদ্র,নয়নিকা এবং প্রফেসর নাটবল্টু চক্র পাঠক মহলে আজও বিশেষ জনপ্রিয়।

আনন্দমেলায় তাঁর এক বিশেষ কলাম ‘আমার মা সব জানে’ ছিল কিশোর মনে এক চরম আকর্ষণের বিষয়।পরবর্তীকালে এই লেখাগুলি সঙ্কলিত করে বই আকারে প্রকাশিত হয় দুই খন্ডে।

ভারতবর্ষের প্রথম কল্পবিজ্ঞান পত্রিকা ‘আশ্চর্য’-এর সম্পাদক হিসাবে কাজ করেছেন তিনি।জীবৎকালে পুরষ্কারও পেয়েছেন বেশ কিছু।তবে সেইসব পুরষ্কার বাংলা সাহিত্যের কল্পবিজ্ঞান জগতে তাঁর অবদানের একেবারেই সমতুল্য  নয়।

তাঁর আরেক কীর্তি অনুবাদ রচনা।সমগ্র জুলে ভার্ন অনুবাদের পাশাপাশি শার্লক হোমস ও অনুবাদ করেছেন তিনি।তাঁর জুলে ভার্নের অনুবাদ আজও বাঙ্গালির বইয়ের তাকে এক অত্যাবশ্যক জায়গা করে আছে।

জানুয়ারি মাস থেকেই বার্ধক্যজনিত কিছু অসুখের কারণে এনআরএসে ভর্তি  ছিলেন তিনি,তখন থেকেই বাংলা সাহিত্য মহল দুশ্চিন্তায় ছিল,তাঁর মৃত্যু এখন বাংলা সাহিত্যমহলে শোকের ছায়া ফেলেছে।তাঁর জীবনাবসান বাংলা সাহিত্যে এক যুগের অবসান।