লন্ডন, ১৩ অক্টোবর– ব্যাঙ্কের হাজার-হাজার কোটি নিয়ে চম্পট দিয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগেও বিদেশে ছিলেন বহাল তবিয়তে। এখন তিনি নাকি অবসাদে আত্মহত্যার পথে যেতে পারেন। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদি আপাতত লন্ডনের জেলে বন্দি। তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের মামলা চলছে লন্ডন হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই বুধবার চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন দুই মনোবিদ।
কারডিফ বিশ্ববিদ্যালয় ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেনসিক সাইকিয়াট্রিরা এদিন আদালতে জানিয়েছেন, নীরব মোদি গভীরভাবে হতাশাগ্রস্ত। তাঁর আত্মহত্যা করার ঝুঁকি প্রবল। এদিন লন্ডন হাইকোর্টের বিচারপতি জেরমি স্টুয়ার্ট স্মিথ ও বিচারপতি রবার্ট জের ডিভিশন বেঞ্চে দুই মনোবিদ এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন।
নীরব মোদির আইনজীবীরাই তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের কথা আদালতে জানিয়েছিলেন। তারপর গত আগস্টে লন্ডন হাইকোর্টের এই বেঞ্চ দুই মনোবিদ নিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছিল। মনোবিদ অ্যান্ড্রু ফরেস্টার এবং সিনা ফজল পৃথকভাবে লন্ডনের জেলে গিয়ে নীরব মোদীর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর সঙ্গে কথা বলে এদিন আদালতে রিপোর্ট দেন।
এখন নীরব মোদির সঙ্গে জেলে একজন মনোবিদকে রাখা হয়। তিনি যাতে আত্মহত্যা না করেন সে ব্যাপারে জেল কর্তৃপক্ষকে সতর্কও করেছে আদালত। বলা হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা নিয়ে বিষয়টিতে নজর রাখতে হবে।
২০১৯ সালের ১৪ মার্চ লন্ডনের একটি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে গিয়ে গ্রেফতার হন তিনি। তারপর থেকেই তাঁকে দেশে ফেরানোর ব্যাপারে সচেষ্ট হয় ভারত। গত ১৫ এপ্রিল ব্রিটেনের মুখ্যসচিব প্রীতি প্যাটেল নীরবকে ভারতে প্রত্যর্পণের চুক্তিতে সই করেন। কিন্তু নীরব মোদি আবেদন করেন, ভারতে ফিরলে সঠিক বিচার পাবেন না তিনি। সেই আবেদনের শুনানি চলছে এখনও। এর মধ্যেই সামনে এল তাঁর এহেন আতঙ্কের কথা।