চেন্নাই, ১১ অক্টোবর– বাংলাদেশের ভাষাযুদ্ধের কথা প্রায় সবারই জানা। কিন্তু এবার ভারতেও নতুন করে শুরু হয়েছে ভাষা যুদ্ধ। স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে সুপারিশ করে হিন্দিকেই কাজের ভাষা নিয়ে সংঘাত চরমে বিরোধীদের সাথে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি সংসদীয় কমিটি দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের ভাষা হিসাবে হিন্দি বাধ্যতামূলক করার সুপারিশ করেছে। তারা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পড়াশোনাও হিন্দিতে করার কথা বলেছে। ইংরেজিকে সরকারি অফিসের কাজ ভাষা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পঠনপাঠন থেকে বিদায় দিতে বলেছে কমিশন
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রক ওই কমিটির সুপারিশ নিয়ে এখনও কোনও পদক্ষেপ করেনি। পদক্ষেপ করার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এই ব্যাপারে অগ্রসর হতে নিষেধ করলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে সুপ্রিমো এম কে স্ট্যালিন।
এই বিষয়ে দীর্ঘ বিবৃতিতে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশে হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, ভাষা নিয়ে যুদ্ধ শুরু করবেন না। আমরা তা মেনে নেব না। হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার পরিণাম ভাল হবে না।
প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ বছর দুই আগে হিন্দিকে ভারতের যোগাযোগের অভিন্ন ভাষা হিসাবে ব্যবহারের কথা বলেছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা কেন বিদেশি ভাষার গোলামি করব? আমি একজন গুজরাতি। আমি যদি এখন তামিল ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে চাই তাহলে হিন্দিতে বললে আপত্তি কোথায়?
অমিতের ওই বক্তব্যকে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার মতলব বলে অভিযোগ তুলে তামিলনাড়ু, কর্নাটক ও কেরলে তুমুল বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়। শেষে অমিত শাহ ব্যাখ্যা দেন তিনি নিজে এবং কেন্দ্রীয় সরকার মাতৃ ভাষার বিকাশের পক্ষে। হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।