তবে ভোট হলে কার জয়ের সম্ভাবনা বেশি এই প্রশ্নের জবাব জানে না কংগ্রেসও। কংগ্রেস সূত্রের খবর, গেহলট সরে যেতেই কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী জি-২৩-এর নেতারা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। প্রবীণ নেতা আনন্দ শর্মার বাড়িতে বৃহস্পতিদের গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক হয় নেতাদের। তাৎপর্যপূর্ণ হল, সেই বৈঠকের আগে দিল্লির রাজস্থান হাউসে গিয়ে গেহলটের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন আনন্দ শর্মা।
ফলে দলীয় সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের অভ্যন্তরের নাটক নজির ছাপিয়ে গিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, পছন্দের ব্যক্তিকে সভাপতি করার ক্ষেত্রেও বেশ বেগ পেতে হচ্ছে সনিয়া, রাহুলদের। এই লড়াইয়ে গান্ধি পরিবারের অপছন্দের ব্যক্তির জিতে যাওয়াও অসম্ভব নয়। সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে ভোটাভুটি এড়িয়ে সহমতের ভিত্তিতে কাউকে বেছে নেওয়ার পথে এগনোর কথাও ভাবা হতে পারে।
আজ শুক্রবার কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র পেশ করার শেষ দিন। বৃহস্পতিবার বিকালে সোনিয়া-গেহলট বৈঠকের পর দৃশ্যপট পুরোপরি বদলে গিয়েছে। লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন মধ্যপ্রদেশের দু’বারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং। আজ মনোনয়ন পেশ করতে পারেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।
তবে আলোচনায় আছে আরও নাম। তারমধ্যে চর্চায় এগিয়ে মুকুল ওয়াসনিক। অনেক আগেই মনোনয়নের কাগজপত্র তুলে লড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন শশী তারুর। প্রথম থেকেই আলোচনায় ছিল মণীশ তিওয়ারির নাম। গতকাল রাত পর্যন্ত তিনি স্পষ্ট করেননি আজ কী করবেন। বস্তুত নিজের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে স্পষ্ট আভাস দেননি।
কিন্তু ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, একাধির প্রার্থী থাকলে ভোট কাটাকাটির কারণে কারও জয় সম্পর্কেই নিশ্চিত হওয়া কঠিন। গেহলট প্রার্থী হলে তাঁর সঙ্গে সরাসরি কেরলের সাংসদ শশী তারুরের লড়াই হত। তাতে গেহলটের বিপুল ভোটে জয় নিয়ে কোনও সংশয় ছিল না। তিনি সরে যাওয়ার পর একাধিক নেতা দলীয় সভাপতি পদে প্রার্থী হতে মুখিয়ে আছেন। ভোট হলে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের দিকেই গড়াচ্ছে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন।
সাম্প্রতিক অতীতে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন ঘিরে এমন পরিস্থিতির নজির নেই। ওই পদে শেষবার নির্বাচন হয়েছিল ২০০০ সালে। সেবার সনিয়ার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের নেতা জীতেন্দ্র প্রসাদ। ফল হয়েছিল প্রত্যাশিত। ভোটের বাক্সে অস্তিত্ব টের পাওয়া যায়নি জীতেন্দ্রর।