বেইজিং, ২৮ সেপ্টেম্বর– বেশ কিছুদিন ধরেই গুজব রটেছিল প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিংকে নিয়ে। তিনি নাকি গৃহবন্দী। চিন নাকি সেনার কবলে। অবশেষে সেই সব সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দেখা দিলেন তিনি। সেই সঙ্গে ঘোষণা করলেন, চিনা বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে নতুন করে জেগে উঠবে সমাজতান্ত্রিক আদর্শ। প্রসঙ্গত, অক্টোবর মাসেই চিনা পার্টি কংগ্রেসের সম্মেলন হবে। সেখানে জিনপিং বেশ বেকায়দায় রয়েছেন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
তবে তার অদৃশ্য হওয়ার পেছনে নাকি কোনো বিশেষ কারণ ছিল না বলেই চিনা প্রশাসন সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, সম্ভবত বিদেশ সফরের পরে সাতদিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে ছিলেন তিনি। তারপরেও তিনদিন বাড়ি থেকে বেরনোর অনুমতি ছিল না তাঁর। করোনা সংক্রমণ রুখতে জিরো কোভিড নীতি গ্রহণ করেছে চিন। সেই কড়াকড়ির ঊর্ধ্বে নন দেশের প্রধানমন্ত্রীও। প্রসঙ্গত, অতিমারীর পরে এসসিও বৈঠকেই প্রথমবার বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন জিনপিং।
কিছুদিন আগেই ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চিনের এক আদালত সেদেশের এক প্রাক্তন নিরাপত্তা আধিকারিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, জিনপিংয়ের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক চক্রান্ত করার। এরপরই জোরাল হয় জিনপিংয়ের গৃহবন্দি হওয়ার গুঞ্জন। এমনও শোনা যাচ্ছে, চিনের ৬০ শতাংশ বিমানের উড়ানই বাতিল হয়েছে। এবং সেজন্য কোনও কারণও দেখানো হয়নি।
শেষবার প্রকাশ্যে জিনপিংকে দেখা গিয়েছিল উজবেকিস্তানের এসসিও মঞ্চে। গত ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর উজবেকিস্তানের সমরখন্দে শুরু হয় দু’দিনের ‘সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন’-এর সম্মেলন। কূটনীতিকদের একাংশ আশা করেছিলেন, চমক দিয়ে আলোচনার টেবিলে বসতে পারেন মোদি ও জিনপিং। কিন্তু তেমনটা হয়নি। বরং দুই রাষ্ট্রনায়ককে দেখা যায় কার্যত মুখ ফিরিয়ে থাকতে। শোনা গিয়েছিল, ওই বৈঠক থেকে দেশে ফেরার পরই নাকি গৃহবন্দি করা হয়েছে জিনপিংকে।