নিদা ফজলির বিখ্যাত পঙক্তিই হয়তো ছিল রাজুর জীবনের মন্ত্র, ‘ঘর সে মসজিদ হ্যায় দূর, চলো ইয়ু করলে/কিসি রোতে হুয়ে বাচ্চে কো হাসায়া যায়ে।’ ৮ থেকে ৮০ সকলকে নির্মল হাসিতে ভরিয়ে দিতে জুড়ি ছিল না রাজুর। স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান তিনি। কথার সঙ্গে কথা জুড়ে তৈরি করতেন অনর্গল হাসির ফুলঝুরি। মনে হত, এর চেয়ে সহজ কাজ বুঝি আর হয় না। অথচ কে না জানে কারও মুখে হাসি ফোটানোই এই নিষ্ঠুর সভ্যতায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
রাজুর এই গুণ ছিল একেবারে তাঁর মজ্জায়। ছোট থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল কমেডিয়ান হওয়ার। অথচ বাবা ছিলেন বিখ্যাত কবি। বলাই কাকা নামে কবিতা লিখতেন। ছোটবেলা থেকেই রসিকতায় ভরপুর রাজুর হাবভাব দেখে চিন্তিত হতেন বাবা-মা। ছেলেটা বখে যাচ্ছে বলেই মনে হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু রাজুর মনে তখন সিনেমায় নামার স্বপ্ন। সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতেন অমিতাভ বচ্চনকে নকল করে। জিতেও নিয়েছিলেন পঞ্চাশ টাকার পুরস্কার।
সেই রাজুর চলে যাওয়াতেই মন ভার গোটা ভারতের।