লখনউ, ১৮ সেপ্টেম্বর– উত্তরপ্রদেশে লাভ জিহাদ সংক্রান্ত একটি মামলায় এক মুসলিম যুবককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তাকে ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।
এই রাজ্যের আমরোহার হাসানপুর এলাকায় এক মুসলিম যুবক ধর্ম লুকিয়ে একটি নাবালিকা মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় ওই যুবককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে প্রথমবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর যোগী আদিত্যনাথ লাভ জিহাদ বিরোধী আইন করেন। ওই আইন ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। মুসলিম সমাজ ও বিরোধীদের একাংশ অভিযোগ করে, ধর্মীয় মেরুকরণের লক্ষ্যে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের লক্ষ্য এই আইন করা হয়েছে। সেই আইনে এটাই প্রথম সাজা ঘোষণা।
গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, মুসলিম পুরুষদের অমুসলিম মহিলাকে বিয়ে করা করাও ধর্মান্তকরণেরই একটি প্রক্রিয়া। অনেক ক্ষেত্রে ধর্ম পরিচয় গোপন করে সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ে করা হয়। এই প্রবণতা থামাতেই লাভ জিহাদ বিরোধী আইন চালু করা হয়। উত্তরপ্রদেশের দেখাদেখি বিজেপি শাসিত অনেক রাজ্য একই ধরনের আইন করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, হাসানপুর-গজরৌলা সড়কে এক ব্যবসায়ীর নার্সারী রয়েছে। ব্যবসায়ীর গাড়ি চালাত মহম্মদ আফজল নামে এক তরুণ। সে নার্সারির মালিকের বছর ষোলো বয়সি মেয়েকে নিয়ে দিল্লি পালিয়ে যায়। অভিযোগ, মেয়েটির কাছে আফজল নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দেয়। পরে মেয়েটি ওই তরুণের ধর্ম পরিচয় জানার পর সম্পর্ক চালিয়ে যেতে অস্বীকার করে।
আফজল কিশোরীকে বিয়ের উদ্দেশ্যে অপহরণ করে এবং তাকে দিল্লি নিয়ে যায়। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, আফজল মেয়েটিকে ধর্মান্তরিত করার জন্য পীড়াপীড়ি শুরু করলেও সে বিরোধিতা করে। মেয়েটির বাবার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাদের দু’জনকেই দিল্লি থেকে ধরে আনে। আফজালের বিরুদ্ধে ধর্ম লুকিয়ে বিয়ের ভান করার অভিযোগও করে ওই কিশোরী।