পিউবিজির মােহে বুঁদ নতুন প্রজন্ম।তার জেরে ক্রাইমের সংখ্যাও দিনে দিনে বাড়ছে।বাদ পড়েনি ভারতেও।এবার এক প্রাক্তন সরকারি কর্মীকে খুন করলেন ২০ বছরের যুবক।ঘটনাটি ঘটেছে আমেদাবাদের সুরেন্দরনগর থানার অন্তর্বর্তী এলাকায়।গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবককে।
পুলিশকে অভিযুক্ত জানিয়েছে,পিইউবিজি-র খেলায় মশগুল হয়ে গিয়েছিল সে,সেই সময় ৮২ বছরের বৃদ্ধ গুণভাতরাই ভট্ট বারে বারে তাঁকে বিরক্ত করে যাচ্ছিল। রাগের মাথায় খুন করে সে।প্রথম দিকে পুলিশ ভেবেছিল,কোনও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।কিন্তু মৃত ব্যক্তির কাছে মোবাইল,টাকা-পয়সা ও আরও দরকারি ও মূল্যবান জিনিসপত্র গাড়ির ভিতরেই ছিল।অন্যদিকে ভদ্রলােক নিজেই গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন।
ধৃত যুবক ভার্গব জানি পুলিশকে জানিয়েছে,তাঁর বাড়ি সুরেন্দরনগরের কৃষ্ণনগর সােসাইটিতে বাড়ি।হাইওয়ের একটি রেস্তরাঁয় তাঁদের দু’জনের দেখা হয়।সেখানেই জানি রাজকোট পর্যন্ত লিফট চায়।গাড়ি চালাতে চালাতেই দুজনের কথা হয়। সেখানেই নানারকম কথা বলতে বলতে জানিকে তিনি বলেন,ব্রাহ্মণ হওয়া সত্ত্বেও কেন সে পৈতে পড়েনি এবং আরও অনেক কিছুই জিজ্ঞাসা করতে থাকেন।অনবরত কথা শােনা সহ্য করতে না পেরে ছুরি বের করে তার গলা কেটে দেয় ভার্গব। তারপরেই গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যায় সে।
পুলিশকে সে জানায়, সে পাবজি খেলায় চরম আসক্তি রয়েছে।সেখান থেকেই তাকে এমন হিংস্র মনােভাব করে তুলেছে।আগে মােটেই সে এমন ছিল না।পাবজির প্রভাবেই সে এমন কাজ করেছে।
উল্লেখ্য,গাড়িতে খুন করার পর,ভট্টের পকেট থেকে কয়েক হাজার টাকা চুরি করে নেয় সে।পরে দোকান থেকে একটি নতুন শার্ট কিনে রক্তমাখা জামাটি ফেলে দেয়।