• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

‘রাহুল গান্ধির নিরাপত্তারক্ষী এবং আপ্তসহায়ক দল চালাচ্ছে’ বিস্ফোরক অভিযোগ করে কংগ্রেস ছাড়লেন গুলাম নবি আজাদ

দিল্লি, ২৬ আগস্ট— বড়সড় ধাক্কার মুখে কংগ্রেস। কংগ্রেসের রাহুল সহ-সভাপতি হওয়ার পর দলের গঠনতন্ত্র ভেঙে গিয়েছে। যে সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ ইউপিএ সরকার সফল হয়েছিল, সেই সিনিয়রদেরই উপেক্ষা করেছেন রাহুল। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ আনার পর দলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। দেশে কংগ্রেসের বর্তমান দুর্দশার জন্য মূলত রাহুলই দায়ী করে নিজের ইস্তফাপত্রে সোনিয়াকে

দিল্লি, ২৬ আগস্ট— বড়সড় ধাক্কার মুখে কংগ্রেস। কংগ্রেসের রাহুল সহ-সভাপতি হওয়ার পর দলের গঠনতন্ত্র ভেঙে গিয়েছে। যে সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ ইউপিএ সরকার সফল হয়েছিল, সেই সিনিয়রদেরই উপেক্ষা করেছেন রাহুল। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ আনার পর দলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ।

দেশে কংগ্রেসের বর্তমান দুর্দশার জন্য মূলত রাহুলই দায়ী করে নিজের ইস্তফাপত্রে সোনিয়াকে আজাদ লিখেছেন, ‘২০১৩ সালে রাহুল গান্ধী দলের সহ-সভাপতি হওয়ার পরই সব সিনিয়রকে কোণঠাসা করা হয়েছে। বদলে অনভিজ্ঞ ধান্দাবাজরা দল চালাচ্ছেন।” বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পদত্যাগপত্রে দাবি করেছেন, ২০১৪ সালে ইউপিএ সরকারের হারের অন্যতম কারণ, রাহুল গান্ধির অপরিণতমনস্কতা এবং ছেলেমানুষি। যেভাবে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের পাশ করানো একটি অর্ডিন্যান্স প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন, তাতেই প্রচারের হাতিয়ার পেয়েছিল বিরোধীরা।

এখানেই থামেননি আজাদ। দীর্ঘ চিঠিতে তিনি আরও দাবি করেছেন, “২০১৪ সালের পর রাহুল গান্ধির নেতৃত্বে কংগ্রেস দুটি লোকসভা নির্বাচনে লজ্জাজনকভাবে হেরেছে। ৪৯টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে ৩৯টি হেরেছে। এর মধ্যে কংগ্রেস নিজের দমে মাত্র ৪টি রাজ্যের বিধানসভা ভোটে জিতেছে। আর ৬ বার জোটসঙ্গীদের সঙ্গে ক্ষমতায় এসেছে। দুঃখজনকভাবে আজ কংগ্রেস মাত্র দুটি রাজ্যে ক্ষমতায়। আর দুটি রাজ্যে শাসক জোটের প্রান্তিক শক্তি।” আজাদ বলছেন, “২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর দলের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। এর মধ্যে রাহুল দলকে বিপদে ফেলে ইস্তফা দিলেন। তার আগেই অবশ্য দলের সেইসব সিনিয়র নেতাদের তিনি অপমান করে ফেলেছেন, যাঁরা নিজেদের জীবন দিয়ে দিয়েছেন দলের হয়ে।”