ইসলামাবাদ, ২২ আগস্ট– পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে শনিবার রাতে ভাষণ দিচ্ছিলেন ইমরান খান। সেখানেই তিনি পুলিশকর্মী এবং একজন মহিলা বিচারপতিকে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ।আর তারপরই পুলিশ এবং বিচারকের উদ্দেশে উস্কানিমূলক ভাষণ এবং হুমকির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হল প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, তাঁর তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের কোনও বিশেষ কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য পুলিশ এবং বিচারপতিকে তাঁদের নিজস্ব কর্তব্য পালন করতে দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ৬৯ বছরের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। এরপরেই শনিবার রাত ১০টা নাগাদ তাঁর বিরুদ্ধে মারঘাল্লা থানায় সন্ত্রাসরোধী আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানী অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ইমরানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী শাহবাজ গিল। সেই ঘটনায় গিলকে দুদিনের রিমান্ড দেন বিচারপতি জেবা চৌধুরী। এই ঘটনায় ক্ষেপে ওঠেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর তারপরই আগে-পিছু না ভেবেই শনিবার ওই বিচারপতি-সহ একাধিক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন ইমরান। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে দেশের সমস্ত স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলে ইমরানের বক্তব্যের লাইভ টেলিকাস্ট বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান সরকার।
এই ঘটনাকে ফ্যাসিবাদী আচরণ বলে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন ইমরান খান। তাঁর পার্টির তরফ থেকে টুইট করে জানানো হয়, ‘ফ্যাসিবাদীরা টিভিতে ইমরান খানের বক্তব্য দেখানো বন্ধ করতে চাইছে। তারা আসল যুদ্ধ হেরে গেছে, এখন শুধুই ফ্যাসিজমের ব্যবহার করছে। তাতেও ওরা হেরে যাবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সাহায্য করতে গলা তুলুন।’