পুণে, ১৬ আগস্ট —পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট সুখবর জানিয়েছেন যে ওমিক্রন প্রতিরোধক প্রথম মেজেঞ্জার আরএনএ ভ্যাকসিন আসছে দেশে। জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যাল এই টিকা বানিয়েছে। সংস্থার কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা সোমবারই একটি বিবৃতিতে বলেছেন, অনুমতি পেলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে সেই টিকা চলে আসবে দেশের বাজারে।
সেরাম ইনস্টিটিউট জানিয়েছেন তাদের তৈরি কোভিশিল্ড টিকারই একটি ভার্সন বিশেষভাবে তৈরি করা হচ্ছে। এই নতুন ভার্সন ওমিক্রনের মতো করোনার মিউটেডেট প্রজাতিকে রুখে দিয়ে ওমিক্রনের বিএ৫ প্রজাতিকে ঠেকাতে পারবে এই ভ্যাকসিন।
অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় তৈরি সেরামের ডিএনএ ভ্যাকসিনের নাম ‘কোভিশিল্ড’ । সেরামের দাবি, এই ভ্যাকসিন মানুষের রক্তে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে। পুনাওয়ালা জানাচ্ছেন, ওমিক্রনের বিএ৫ ভ্যারিয়ান্ট সুপার স্প্রেডার। একে ঠেকাতে নতুন রকমের ডোজ দরকার। তাদের তৈরি ভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ হিসেবেই কাজ করবে।
আদর পুনাওয়ালা তিনি বলেছেন, ল্যানসেটের গবেষণায় দেখা গেছে কোভিডের বিরুদ্ধে কোভিশিল্ডের কার্যকারিতা খুব বেশি। এটি নেওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি কিংবা মৃত্যুর ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওমিক্রনের নতুন প্রজাতি সুপার-স্প্রেডার হয়ে উঠেছে, মানে অনেক দ্রুত মানুষের শরীরে ঢুকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। সার্স-কভ-২ হল আরএনএ (রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) ভাইরাস। এর শরীর যে প্রোটিন দিয়ে তৈরি তার মধ্যেই নিরন্তর বদল হচ্ছে। এই প্রোটিন আবার অ্যামাইনো অ্যাসিড দিয়ে সাজানো। ভাইরাস এই অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলোর কোড ইচ্ছামতো বদলে দিচ্ছে। কখনও একেবারে ডিলিট করে দিচ্ছে। এইভাবে বদলের একটা চেইন তৈরি হয়েছে। আর এই এই রূপ বদলের কারণেই নতুন নতুন প্রজাতির দেখা মিলতে শুরু করেছে।