পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিত মুখোপাধ্যায়ের সম্পত্তির খোঁজ করতে করতে এবারে ইডি আধিকারিকরা পৌঁছে গেলেন রবীন্দ্র সরোবর থানাতে।
সূত্রের খবর পণ্ডিতিয়া রোডের ‘ফোট ওয়েসিস’ আবাসনের একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানোর ব্যাপারেই কথা বলতে রবীন্দ্র সরোবর থানায় যান ইডি আধিকারিকরা।
কারণ ইডি তদন্তকারীদের সন্দেহ ছিল ওই ফ্ল্যাটটি পার্থ অর্পিতারই বেনামী সম্পত্তি।
কারণ ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, পন্ডিতিয়া রোডের ওই আবাসনের ৫০৩ নম্বর ফ্ল্যাটটি আগেও হস্তান্তর হয়েছিল। কেবলমাত্র একবার নয় একাধিকবার ওই ফ্ল্যাটটি হস্তান্তরিত হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে ইডি।
কিন্তু ওই ফ্ল্যাটের মধ্যে টাকা বা গয়না কিছু আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালাতে চেয়েছিল ইডি। সেই জন্য ইডির তরফ থেকে এক চাবিওয়ালাকে সঙ্গে করে নিয়ে আসা হয়েছিল।
পরবর্তীতে সেই চাবিওয়ালা ছেনি হাতুড়ির সাহায্যে ওই ফ্ল্যাটের দরজার লক ভাঙ্গেন। ইডির তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় আবাসনের বাইরে মোতায়েন ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ান।
এইসময় যারাই আবাসনের ভিতরে ঢুকতে চাইবেন তাদের রেজিস্টারে নাম নথিভূক্ত করতে হবে। মঙ্গলবারই পার্থ অর্পিতার আরো সম্পত্তির সন্ধানে একসঙ্গে ছুটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছিল ইডি।
কিন্তু পন্ডিতিয়া রোডের এই আবাসনে তল্লাশি চালাতে পারেনি তারা। ওই আবাসনের অন্যান্য বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন ইডির আধিকারিকরা। সেখান থেকেই তারা জানতে পারেন ওই ফ্ল্যাটের মালিকানা সংক্রান্ত কিছু জটিলতা রয়েছে।
এরপরেই বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র সরোবর থানায় যান ইডির আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে ইডির আধিকারিকরা প্রায় আধঘণ্টা থানায় ছিলেন।
সূত্রের খবর পুলিশের কাছ থেকে ওই ফ্ল্যাটের মালিকানা সংক্রান্ত কিছু তথ্য নেয় ইডি। তারপর সেখান থেকেই ‘ফোর্ট ওয়েসিসের’ উদ্দেশ্যে রওনা হন ইডি আধিকারিকরা।