রাতপোহালেই তৃণমূলের শহিদ দিবস। করোনা মহামারীর জেরে বিগত দু’বছর ভার্চুয়াল ভাবে পালিত হয়েছে তৃণমূলের শহিদ দিবস। কিন্তু এই বছর ধর্মতলায় বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় -সহ তৃণমূলের সব ছোট বড় নেতা এবং সকল কর্মীবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন এই মহা সমাবেশে।
গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, বিধাননগর সেন্ট্রাল পার্ক, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে অস্থায়ী শিবির করে রাখা হয়েছে কর্মীদের কারণ সভা শুরুর আগে থেকেই জেলা থেকে কর্মীদের আগমন শুরু হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ থেকে দুই দিন আগেই রওনা দিয়েছেন সেখানকার কর্মীরা। কিন্তু আসলে এই ২১শে জুলাইয়ের এই শহীদ দিবসটা কি কারণে পালিত হয় আসুন জানি।
আজকের তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৯৩ সালে ছিলেন যুব কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গের সভানেত্রী।
নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার জন্য সচিত্র ভোটার কার্ডের দাবি তোলেন তিনি এবং সেই দাবি নিয়ে ১৯৯৩ সালের ২১শে জুলাই তৎকালীন রাজ্যের বামফ্রন্ট পরিচালিত রাজ্য সরকারের প্রধান সচিবালয় মহাকরণে অভিযানে ডাক দেয় কংগ্রেস।
যুব কংগ্রেস কর্মীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সামিল হন এই আন্দোলন। গুলি চালানো হয় তাদের মিছিলে। তাতে মৃত্যু হয় ১৩ জনের কর্মীর। রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে ওঠে এই ঘটনা ঘিরে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরবর্তী সময়ে যখন কংগ্রেস দল ছেড়ে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস দল গঠন করেন। কিন্তু ওই দিনটি তিনি ভুলতে পারেননি
তাই প্রতি বছরই এই দিনটি শহিদ দিবস হিসাবে পালন করে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস।