দেশের সেনায় চুক্তিতে নিয়োগের বিরুদ্ধে কিছুদিন আগেই জ্বলে ওঠে গোটা দেশ। দেশের নানা প্রান্তে চলতে থাকে বিক্ষোভ। ঘটে মৃত্যু-আত্মহত্যার মত ঘটনাও।
কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। দেশে সেনার প্রায় দু’লাখ শূন্যপদ রয়েছে। সেনাবাহিনী দ্রুত নিয়োগ এবং খরচ কমানোর স্বার্থে এই ব্যবস্থা বেছে নিয়েছে। সরকারও এই ব্যাপারে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
গত সপ্তাহে সংসদের প্রতিরক্ষা বিষয়ক পরামর্শদাতা কমিটির সামনে অগ্নিবীর প্রকল্পের খুঁটিনাটি পেশ করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
সেখানে কংগ্রেস, তৃণমূল, শিবসেনা-সহ একাধিক বিরোধী দলের সাংসদ এই প্রকল্পে আপত্তি জানান। আপত্তির কারণ সংক্রান্ত একটি নোট তাঁরা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছে পেশ করেছেন।
এরপরই দেশের নানা স্থানে অগ্নিবীর নিয়োগ নিয়ে মামলা দায়ের হয়। দেশের পাঁচটি হাইকোর্টে সেনায় চুক্তিতে নিয়োগের অগ্নিবীর স্কিমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এই পাঁচ হাইকোর্ট হল পাটনা, কেরল, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং দিল্লি। অগ্নিবীর সংক্রান্ত সেই সব মামলার শুনানি আপাতত দিল্লি হাইকোর্টে হবে।
মঙ্গলববার সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে রাজ্যে রাজ্যে মামলার প্রসঙ্গ ওঠে। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বলে, আপাতত সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা শুনবে না। আগে হাইকোর্ট বিষয়টি শুনুক
তখনও আদালতকে বলা হয় পাঁচটি হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। সেই মামলাগুলির নিষ্পত্তি হতে অনেক সময় চলে যাবে।
সুপ্রিম কোর্ট বলে, একই বিষয়ে মামলা পাঁচটি হাইকোর্টে শুনানি সঠিক হবে না। সব মামলা দিল্লিতে স্থানান্তর করা হোক।
অগ্নিবীর প্রকল্পে ইতিমধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে দেশে। ওই প্রকল্পের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ অবরোধ হয়েছে। প্রতিবাদের জেরে আংশিক বিপর্যস্ত হয় দেশের রেল চলাচল।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে লাঠি, গ্যাস, শূন্যে গুলিও ছুঁড়তে হয়। কয়েকশো কোটি টাকার সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে প্রতিবাদকারীদের ভাঙচুরের কারণে।
অগ্নিবীর নিয়ে মামলাগুলির মূল বক্তব্য, এই প্রকল্প সেনার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নয়। চার বছরের চাকরি শেষে ২৫ শতাংশকে রেখে বাকিদের বসিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ওই প্রকল্পে।