• facebook
  • twitter
Tuesday, 26 November, 2024

‘পাতিয়ালা পেগ’, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ চার সেনা অফিসার

পাতিয়ালা পেগের কথা শোনেনি এমন কেউ আছে নাকি ! পাঞ্জাব, হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের গ্রাম শহরে মদ্যপানের অবিচ্ছেদ্দ অঙ্গ এই শব্দ দুটি।

পাতিয়ালা পেগের কথা শোনেনি এমন কেউ আছে নাকি ! পাঞ্জাব, হরিয়ানা, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের গ্রাম শহরে মদ্যপানের অবিচ্ছেদ্দ অঙ্গ এই শব্দ দুটি। আসলে হুইস্কির ১২০ মিলিলিটারের একটি পরিমাপকেই বোঝানো হয় পাতিয়ালা পেগ বলে। 

শব্দটির জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার মদ্যপানের আসর থেকে ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের নানা ক্ষেত্রে, কাব্যে, সাহিত্যে, গান, নাটক, সিনেমায়। পাঞ্জাবে ক্লাবের নাম, বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মীদের অনেক গ্রুপের নাম পাতিয়ালা পেগ। ফলে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপই বা বাদ যায় কী করে।

এমন অসংখ্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের একটির সদস্য বেশ কয়েকজন সেনা অফিসার, যেটির নাম ‘পাতিয়ালা পেগ’। আর সেনার সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ নিয়েই বেঁধেছে যত বিপত্তি।

পাকিস্তানি সেনা গোয়েন্দারা তাতে শুধু উঁকি দেয়নি, নিজেদের একজনকে গ্রুপের সদস্য পর্যন্ত করে ফেলেছে।

তবে কম সতর্ক নয় ভারতীয় সেনা গোয়েন্দা শাখাও। তাঁদের চোখে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব হয়নি বেশিদিন। গ্রুপের সদস্যদের পরিচয় যাচাই করতে গিয়ে নজরে আসে পাক গোয়েন্দাদের তৎপরতা।

আর সেই কারণেই প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে সেনা অফিসারের মোবাইল ফোনের যাবতীয় ডিজিটাল নথি বাজেয়াপ্ত করেছে সেনা কর্তৃপক্ষ। সাসপেন্ড করা হয়েছে গ্রুপের তিন সদস্যকে।

সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলায় সংশ্লিষ্ট কর্নেল ও লেফট্যান্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার ওই অফিসারেরা বলেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও গোপন তথ্য আদানপ্রদানের প্রমাণ মেলেনি। তাঁদের সাজা প্রত্যাহার করে ফিরিয়ে দেওয়া হোক মোবাইলের ডিজিটাল নথি।

মোবাইল বন্দি অনেক তথ্য, নথিই নাগরিকের একান্ত ব্যক্তিগত। মোবাইলের নথি বাজেয়াপ্ত করা সংবিধানে উল্লেখিত নাগরিক স্বাধীনতার পরিপন্থী। গোপনীয়তার অধিকার এতে খর্ব হচ্ছে।

সেনা কর্তৃপক্ষের দাবি, সেনাবাহিনীর সাইবার নিরাপত্তা নীতি লঙ্ঘনের দায়ে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গুপ্তচরবৃত্তির একটি মামলায় তদন্তের জন্য তাদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল।

চার অফিসারের দু’জন দিল্লি ডিরেক্টরেট অফ মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সে কর্মরত ছিলেন। বাকি দু’জনের একজনের ওয়েলিংটন ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজে পোস্টিং ছিল। চতুর্থ জন মুম্বইয়ে কর্মরত।

চার সামরিক কর্মকর্তার অভিযোগ, মার্চ মাসে সেনা গোয়েন্দা মহাপরিচালকের নির্দেশে সামরিক কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাদের মোবাইল ফোনের সমস্ত ডিজিটাল ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করে।