• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

জর্জ ফ্লয়েডের স্মৃতি উসকে আমেরিকায় ফের কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা! যুবককে লক্ষ্য করে ৬০ রাউন্ড গুলি পুলিশের

পুলিশের বডি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশের দাবিতে সরব মৃতের পরিবার। এই মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ হওয়ায় তা বহির্বিশ্বের সামনে জানাজানি হয়।

ফের আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গের উপর নারকীয় অত্যাচার। পুলিশের এলোপাথাড়ি গুলিতে প্রাণ গেল এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের।

আর এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আবারও উত্তাল মার্কিন মুলুক। পুলিশকর্মীর শাস্তির দাবিতে সরব এলাকাবাসী।এই ঘটনা আরও একবার জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার স্মৃতি উসকে দিল বলে দাবি তাঁদের।

আমেরিকার ওহাইয়ো প্রদেশের ছোট্ট শহর অ্যাক্রন। সেখানকার বাসিন্দা জেল্যান্ড ওয়াকার ( ২৫ ) পেশায় ডেলিভারি বয়। স্থানীয় সময় অনুযায়ী , গত সোমবার ঘটে ঘটনাটি।

পুলিশি অত্যাচারে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় শনিবার উত্তাল হয় ওহাইয়ো প্রদেশ। পুলিশের বডি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশের দাবিতে সরব মৃতের পরিবার। এই মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ হওয়ায় তা বহির্বিশ্বের সামনে জানাজানি হয়।

জেল্যান্ড ও জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর মধ্যে পার্থক্য একটাই। পুলিশের হাঁটুর চাপে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন জর্জ ফ্লয়েড।জেল্যান্ডকে গুলি করে মারা হয়।

পুলিশের দাবি , রাতে ট্রাফিক আইন ভেঙে দ্রুতগতিতে ছুটছিল একটি গাড়ি। তার পিছু নেয় পুলিশ।চালককে গাড়ি থেকে নামতে বলে তারা। কিন্তু গাড়ি থেকে নামেননি তিনি। বরং গাড়ির ভিতর থেকে গুলি ছোঁড়ে জেল্যান্ড। পরে গাড়ি থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। সেই সময় গুলি ছোঁড়ে পুলিশ।

তাঁদের দাবি, নেমে পালানোর সময় জেল্যান্ড আবার গুলি চালাতে পারেন বলে আশঙ্কা করেছিল পুলিশ।

এরপরই প্রায় ৯০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে পুলিশ । জেল্যান্ডের আইনজীবীর দাবি , এর মধ্যে অন্তত ৬০ টি গুলি তাঁর শরীর ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দেয়। কিন্তু পুলিশকে লক্ষ্য করে জেল্যান্ড কি গুলি চালিয়েছিলেন? তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।

এমনকী , তাঁর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল কিনা তাও পরিষ্কার নয়।ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মৃত যুবকের পরিবারের দাবি , কোনও কারণ ছাড়াই গুলি চালানো হয়েছে। কোনও কারণ ছাড়াই হত্যা করা হয়েছে জেল্যান্ডকে।

এ প্রসঙ্গে মৃতের পরিবারের আইনজীবী ববি ডি সেলো দাবির , পুলিশ প্রায় ৯০ রাউন্ড গুলি চালিয়েছিল। যার মধ্যে অন্তত ৬০ টি জেল্যান্ডের শরীর ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে দেয়। গুলিতে যুবকের মুখ ঝাঁজরা হয়ে গিয়েছে।