আর্থিক সংকটে ভুগছে মেসির দেশ আর্জেন্টিনা।আর সেই সংকটের ওপর এবার নেমে এলো অর্থমন্ত্রীর ইস্তফার ঘা।
ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফীতির চাপে ইস্তফা দিলেন আর্জেন্টিনার অর্থমন্ত্রী মার্টিন গুজম্যান। টুইটারে সকলকে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
দেশের বর্তমান আর্থিক সংকটের মধ্যে গুজম্যানের ইস্তফা নিঃসন্দেহে প্রশাসনের উপরে বড় আঘাত। তেমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজকে সম্বোধন করে নিজের টুইটে গুজম্যান জানিয়েছেন , অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি।
আর্থিক সংকট থেকে বাঁচতে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার আইএমএফের সঙ্গে ঋণ পুনর্বিবেচনা নিয়ে যে আলোচনা চলছে , তারই নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন গুজম্যান। কেন তিনি ইস্তফা দিলেন , তা এখনও জানা যায়নি। গুজম্যান নিজেও কিছু লেখেননি।
তবে এই অবস্থায় আইএমএফের সঙ্গে আলোচনায় যাতে কোনও বাধা না পড়ে সে নিয়েও তিনি যে সচেতন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন গুজম্যান।
প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দেজকে অভ্যন্তরীণ বিভাজন দূর করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন , তাঁর স্থলাভিষিক্ত মন্ত্রী যাতে অসুবিধায় না পড়েন তা তিনি নিশ্চিত করতে চান।
মুদ্রাস্ফীতির হাল খুবই খারাপ আর্জেন্টিনায়। তা ৬০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। ফলে সেদেশের মুদ্রা পেসোর উপরে চাপ ক্রমেই বাড়ছে। মনে করা হচ্ছে এখনই ব্যবস্থা না নিলে মুদ্রাস্ফীতি ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
দেশের অর্থসচিব মিগুয়েল কিওয়েল এপ্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন , আমরা জানি না আগামিদিনে কী হতে চলেছে। কিন্তু এটা বোঝাই যাচ্ছে পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে। যিনিই এবার দায়িত্ব নিন , তাঁর কাজটা যে খুবই কঠিন হতে চলেছে সেটা পরিষ্কার।
বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা ছিল রীতিমতো ধনী। কিন্তু পরে ক্রমশই অবস্থা বদলেছে। প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য কিংবা শিল্প বৈচিত্রের মতো ফ্যাক্টর থাকা সত্ত্বেও আর্জেন্টিনা এখন মধ্য আয়ের দেশ।
সেই পরিস্থিতিও ক্রমশই খারাপ হচ্ছে।লাফিয়ে বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। এই অবস্থায় অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ যে পরিস্থিতি আরও সংকটজনক করে তুলল তাতে সন্দেহ নেই।