আসন্ন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ঘিরে সর্বভারতীয় রাজনৈতিকমহলে কেন্দ্রের বিরোধী নেত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন।
এই নির্বাচনকে ঘিরে দিল্লিতে এসে বিরোধী ঐক্যের সুর বেঁধে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বেসুরো হওয়ার জায়গা নেই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর বেঁধে দেওয়া সুরেই যে সংসদের বাদল অধিবেশনেও বিরোধীরা গলা মেলাবে, তাতে স্পষ্ট অবস্থান জানালো জাতীয় কংগ্রেস।
জুলাই মাসের মাঝামাঝি অধিবেশন শুরু হবে। সেখানে বিরোধীরা একসুরে অগ্নিপথ, জিএসটি-সহ বেশ কয়েকটি ইস্যুতে সরব হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
তৃণমূল নেত্রী মমতার অগ্রণী ভূমিকাতেই এখন দেশের বিজেপি বিরোধী দলের নেতারা একসুরে কথা বলছেন, তা বোঝা যাচ্ছে। আক্রমণের লক্ষ্য বিজেপি। জোটের ঐক্যে ফাটল না ধরে।
সেজন্য রাষ্ট্রপতি ভোটকে কেন্দ্র করে বিজেপি বিরোধিতার মহড়া শুরু হয়। আগের তুলনায় বর্তমানে ঐক্যবদ্ধ বিরোধীরা।
এবার বাদল অধিবেশন শুরুর আগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই শুরু হয়েছে রাজধানীতে। অবিজেপি দলের সাংসদরা একে অপরের সঙ্গে প্রাথমিক কথা বলে রাখছেন।
যাতে অধিবেশন চলাকালীন মাঝপথে কোনওভাবেই অনৈক্য ফুটে না আসে। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কিছু ইস্যুতে তিক্ততা তৈরি হলেও প্রকাশ্যেও মুখ খুলছেন না কেউ।
ইদানীংকালে অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে যুবসমাজে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ বিক্ষোভ। সেইসঙ্গে বিজেপির সাসপেন্ড হওয়া মুখপাত্র নূপুর শর্মার মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এই দুই ইস্যুর ওপর জোর দেবে বিরোধীরা।সেইসঙ্গে জিএসটি কাউন্সিলের কিছু সিদ্ধান্তের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। তাতেও প্রভাব পড়বে জনমানসে।
তাঁরা বিষয়গুলি নিয়ে সংসদে সরব হবেন চলতি জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাদল অধিবেশনে।