• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মমতাই মুখ, প্রমাণ করলো দিল্লি

মুখ যে মমতাই,দিল্লীতে তা আরও একবার প্রমাণিত হলো।উপলক্ষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। আর তাকে সামনে রেখেই বেশীরভাগ বিরোধী শক্তিকেই একত্রিত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ যে মমতাই, বুধবার দিল্লীতে তা আরও একবার প্রমাণিত হলো। উপলক্ষ রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। আর তাকে সামনে রেখেই বেশীরভাগ বিরোধী শক্তিকেই একত্রিত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

গোটা দেশে মোদী বিরোধিতা ও বিজেপি বিরোধী দলের ‘ অনুঘটক’ যে তিনি, বুধবার দিল্লির কনস্টিটিউশনাল ক্লাব তার সাক্ষী থাকলো।

তবে শুরু এখানে নয়, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কে সামনে রেখে ২০২৪ সালের বিরোধী ঐক্যের সলতে পাকান কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এই বৈঠকের দায়িত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই।

এমনকী যে সিপিএম এই ধরনের বৈঠক বিরোধী শিবিরের সবচেয়ে বড় দলেরই ডাকা উচিত বলে মনে করে, সেই তারাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আগ বাড়িয়ে’ ডাকা বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠিয়েছে।

এখানেই শেষ নয়, সম্প্রতি একাধিক ইস্যুতে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক এতটাই তিক্ততার পর্যায়ে পৌঁছেছে তাতে কংগ্রেস দিল্লির এই বৈঠকে আদৌ উপস্থিত হবে কিনা, তা নিয়েও যথেষ্ট সংশয় ছিল।

কিন্তু বুধবারের সফল বিরোধী বৈঠকে মল্লিকার্জুন খাড়গের বা জয়রাম রমেশদের উপস্থিতি প্রমাণ করলো বিরোধীদের একত্রিত করার ফার্স্ট ল্যাপে অন্তত সফল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বেই এক ছাতার তলায় চলে এল ১৭টি বিরোধী দল।

এলেন শরদ পওয়ার, অখিলেশ যাদব, মেহেবুবা মুফতির, মতো নেতারা। মমতার ডাকা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়ে গেল, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে একজোট হয়ে প্রার্থী দেবে বিরোধী শিবির।

বৈঠকে বিজেপি বিরোধী প্রায় সব দলই উপস্থিত ছিল। অখিলেশ তো বৈঠকে সবার সামনেই বলে দিয়েছেন, প্রার্থী নিয়ে মমতা যা সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই তাঁর সিদ্ধান্ত হবে। যদিও এদিনের বৈঠকে আম আদমি পার্টি এবং টিআরএস কোনো প্রতিনিধি পাঠায় নি।

যা নিয়ে মমতা নিজেই এদিনের বৈঠক শেষে বলেছেন, “আজকের বৈঠকে সবথেকে জরুরি বিষয় হল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল এখানে এসেছে। মাত্র কয়েকটি দল আসেনি। তাঁদের নিশ্চয় কোনও বাধ্যবাধকতা ছিল। সেটাকে গুরুত্ব দিয়ে লাভ নেই।”