• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

১ জুলাই থেকে নিষিদ্ধ পাতলা প্লাস্টিক, থার্মোকলের থালা-বাটিও: ফিরহাদ

বর্ষা নিকাশি ব্যবস্থা সামাল দিতে এবং পরিবেশ সাফাইয়ের উদ্দেশ্যে এটাই সাফকথা মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের।

পয়লা জুলাই থেকে ৭৫ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। শুধু প্লাস্টিকের ব্যাগই নয়, প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসপত্র, আইসক্রিম স্টিক, এয়ার বাড়, চামচ-ছুরি, কাপ কিছুই এখন থেকে আর ব্যবহার করা যাবে না এমনকী নিষেধাজ্ঞা জারি হচ্ছে থার্মোকলের থালা-বাটি ব্যবহারেও।

মঙ্গলবার বিধানসভায় মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কথামতো রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর এবার প্লাস্টিক দস্যু দমনে বড়সড় উদ্যোগ নিচ্ছে।

সামনেই বর্ষা নিকাশি ব্যবস্থা সামাল দিতে এবং পরিবেশ সাফাইয়ের উদ্দেশ্যে এটাই সাফকথা মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের।

অতএব বাজার থেকে সব্জি-ফুল-ফল, মাছ-মিষ্টি প্লাস্টিকে ঝুলিয়ে দিন শেষ। অনুষ্ঠান বাড়িতে থামোর্কলের থালা-বাটিতে ভোজ সেরে তা ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়ার অভ্যেসও এবার বদলাতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, পলিস্টারিন সহ একাধিক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের উৎপাদন, আমদানি, মজুত, বিতরণ এবং বিক্রি সবের ওপরেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে।

রাজ্যে মোট ১০২৬ টি বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক দ্রব্য উৎপাদনকারী কারখানা রয়েছে।

পরিবেশ দফতর ও পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এইসব কারখানায় ভিজিট করা হবে। কেউ ৭৫ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরি করলে তার বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিলেন ফিরহাদ হাকিম।

এবার এতটাই এই বিষয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে যে, ৭৫ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক যেসব বিক্রেতা কাউকে দেবেন কিংবা যে ক্রেতারা এগুলি নেবেন, তাঁদের সবাইকেই জরিমানার আওতায় আনা হবে।

এক্ষেত্রে বিক্রেতাকে ৫০০ টাকা এবং ব্যবহারকারীকে ৫০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। এমনকী কোনও দোকান বা কারখানায় ৭৫ মাইক্রনের নীটে প্লাস্টিক পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে।

প্রসঙ্গত ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পরিষদ রাজ্যের দু’টি বড় প্লাস্টিক দানা উৎপাদনকারী সংস্থা হলদিয়া পেট্রোকেমিকেল এবং আইভিএল ধানসেরি পেট্রোকেমিকেলের সঙ্গে বৈঠক করেছে।

তাদের বলা হয়েছে, যেসব কোম্পানি ৭৫ মাইক্রনের নীচে প্লাস্টিক ব্যাগ তৈরি করে, তাদের যেন প্লাস্টিক দানা সরবরাহ না করা হয়।

এই ধরনের স্পেশিফিকেশনের প্লাস্টিক তৈরির উৎসটিকেই কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করা গেলে, দুষণ ও সমস্যা সৃষ্টিকারী প্লাস্টিক দস্যুকে দমন করা সহজ হবে।

তিনি বলেন, প্লাস্টিক উৎপাদনকারী কারখানাতে এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। ফিরহাদের কথায়,