সঙ্গীত শিল্পী কেকে’ র মৃত্যু নিয়ে এবার বিতর্ক বাড়ালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
কলকাতায় গুরুদাস কলেজ ছাত্র সংসদের অনুষ্ঠানে গান গাইতে এসে মৃত্যু হয় সংগীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাতের । যা নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে বিভিন্ন মহল থেকে।
অনুষ্ঠান আয়োজক ওই কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পরিচালিত ছাত্র সংসদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠছে। এই পরিস্থিতিতে বিতর্কের আগুন ঘি ঢাললেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ইকো পার্কে মর্নিং ওয়াকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “কেকে-কে চক্রান্ত করে মেরে ফেলা হয়েছে। এটা হত্যা। অপরাধবোধ থেকেই গান স্যালুট দিয়েছে সরকার।”
এই অপ্রত্যাশিত মৃত্যু নিয়ে সরাসরি প্রশাসনকে কাঠ গোড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “একটা লোককে হত্যা করা হল।
অমিত শাহ বলেছিলেন, বাংলায় গেলে মারা যেতে পারেন। বাংলায় এসে লোকটা বেঘোরে মারা গেলেন। এটা কলেজের অনুষ্ঠান নয়, তৃণমূল পার্টির অনুষ্ঠান। ওরা লোক জড়ো করেছে। নেতারা আয়োজন করেছেন।
ওকে দিয়ে জোর করে একের পর এক গান গাইয়েছে। উনি পারছিলেন না। চলে যেতে চাইছিলেন। চক্রান্ত করে মেরে ফেলা হয়েছে। এটা হত্যা।”
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শেষশ্রদ্ধা জানাতে বুধবার গান স্যালুট দিয়েছে রাজ্য সরকার। দেহ রাখা হয় রবীন্দ্র সদনে।
সেখানেই তাঁকে শ্রদ্ধা মুখ্যমন্ত্রী, মেয়র ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, বিধায়কওসঙ্গীত শিল্পী বাবুল সুপ্রিয় , শিল্পীর পরিবার ও গুণমুগ্ধরা। সরকারের এই পদক্ষেপেরও সমালোচনা করেন দিলীপ ঘোষ।
তাঁর মতে “যে অপরাধবোধ তৈরি হয়েছে, তা ঢাকা দিতে গান স্যালুট দেওয়া হয়েছে। আর ওঁর মৃতদেহ চুরি করার অভ্যেস রয়েছে।”
অসুস্থ হওয়ার পরেও হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে, কেন কেকে -কে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হল? সেই প্রশ্নও তুলেছেন দিলীপ ঘোষ।