এবার কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি সোনিয়া গান্ধি এবং প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধিকে নোটিশ ধরাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি।
দিন কয়েক আগেই কংগ্রেসের এই দুই শীর্ষ নেতাকে নোটিশ ধরিয়ে ইডি জানিয়েছে, ২ জুন রাহুল গান্ধি ও ৮ জুন সোনিয়া গান্ধিকে জেরা করতে চায় তারা। তারা যেন ইডি দফতরে হাজির থাকেন।
জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল হেরাল্ড সংক্রান্ত বেআইনি অর্থপাচার সংক্রান্ত মামলায় কংগ্রেসের এই দুই শীর্ষ নেতাকে তলব করেছে ইডি।
কংগ্রেস দলের হাতে ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রের মালিকানা এবং কংগ্রেস রয়েছে এই সংবাদপত্রের পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত। কংগ্রেস ইডির এই পদক্ষেপ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
দলের প্রবীণ নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেন, বিজেপি দেশ জুড়ে বিরোধীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ফারুক আবদুল্লাহ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল, কেউই বাদ যাচ্ছেন না।
প্রসঙ্গত, গত পরশু দিল্লির আপ সরকারের এক মন্ত্রীকেও গ্রেফতার করেছে ইডি। তার বিরুদ্ধে ৪ কোটি টাকা বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ এনেছে ইডি।
গতকালই জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এই তদন্তকারী দলটি। মহারাষ্ট্রে ইডি ও সিবিআই মিলিয়ে সেখানকার জোট সরকারের মন্ত্রী ও নেতা মিলিয়ে প্রায় এক ডজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে।
সেই তালিকায় আছে শরদ পাওয়ারের মতো প্রবীণ নেতার নামও। এবার ইডির মুখোমুখি হতে হবে সোনিয়া, রাহুলকেও।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী ন্যাশনাল হেরাল্ড নিয়ে দিল্লি দায়রা আলাতে সোনিয়া-রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
তারপর থেকেই আদালতের নির্দেশে দুই শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে আয়কর বিভাগ।
ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্র অধিগ্রহণে গান্ধিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা এবং তহবিল অপব্যবহারের অভিযোগ এনেছিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।