বাংলায় কর্মসংস্থান নিয়ে রাজ্যকে তোপ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। একইসঙ্গে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়েও কটাক্ষ ছুঁড়ে দেওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন,”মুখ্যমন্ত্রী এগিয়ে বাংলার কথা বলছেন। অথচ চাকরি প্রার্থীরা ধর্মতলায় অনশন করছেন।
যাঁরা নিজের যোগ্যতায় চাকরি চাইছেন, তাঁদের ব্যথা অনুভব করুন। বাংলার মানে বাণিজ্য নয় , বাংলার মানে বগটুই।”
রানি রাসমণি রোডে সভামঞ্চ থেকে একের পর এক ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, সংবিধানে কোথায় লেখা আছে, বিরোধী দলকে মনোনয়ন দিতে দেওয়া যাবে না।
কোথায় বিরোধী দলের উপর এমন হামলা হয়। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী গুজরাতে টিম পাঠিয়েছেন সুশাসন দেখার জন্য।
মুখ্যমন্ত্রীও গুজরাতে দল পাঠান, কীভাবে শিল্পায়ন হয় দেখে আসুন। মুখ্যমন্ত্রীর এখন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সখ হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই স্বপ্ন কখনও পূরণ হওয়ার নয়।
রাজ্যে শিল্প নেই, কর্ম সংস্থান নেই, এখানে শুধু স্বপ্ন দেখানো হয়। ৪০ লক্ষ যুবক-যুবতী রাজ্যের বাইরে। গ্রামে রোজগার করতে হলে তৃণমূল করতে হবে।
রাজ্যে শিল্পের চাহিদা বুঝতে মুখ্যমন্ত্রীর ১১ বছর চলে গেল। প্রতিবার লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের স্বপ্ন দেখানো হল।
মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের কাছে কথায় কথায় টাকা দাবি করেন। আমফানের টাকা পাঠাল কেন্দ্র, গেল তৃণমূল নেতাদের পকেটে।
সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন ওয়েবকুপার রাজ্য সভানেত্রী দাবি করেন, ২০১৩-য় তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠনের সদস্যপদ নেন সুকান্ত।
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক থাকাকালীন সদস্য হন সুকান্ত। ‘অতীতে এক দল, এখন এক দল, কেন আস্থা নেই বোঝাই যাচ্ছে।’
সুকান্তর ওয়েবকুপার সদস্যপদ দাবি নিয়ে কটাক্ষ কুণালের। ওয়েবকুপা সদস্য-পদ বিতর্কে গতকাল মুখ খোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তিনি বলেন, ১৯৯৮ থেকেই গৈরিক আদর্শের সঙ্গে আমার পরিচয়। আত্মীকরণ করার চেষ্টা তৃণমূলের, ভাল লাগছে।