গরমের দাবদাহে পুড়ছে বাংলা। যেহেতু এখন স্কুলগুলো খুলে গিয়েছে তাই করুণ দশা পড়ুয়াদের। এই গরমের মধ্যে স্কুলে যেতে অনেক পড়ুয়াই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
এমনকি হিটস্ট্রোকে এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। এমনি তীব্র দাবদাহে চলতে থাকলে স্কুলগুলিতে এগিয়ে আসতে পারে গরমের ছুটি। এমনই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে বুধবার সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই স্কুল ছুটির সময় এগিয়ে এনেছে সরকার। মঙ্গলবার এমনই ইঙ্গিত দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ইতিমধ্যেই শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে বেলার বদলে সকালে স্কুল চালুর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির জন্য প্রায় দু’বছর পর খুলেছে স্কুলগুলি। কিন্তু স্কুলগুলি খোলার সপ্তাহ খানেক যেতে না যেতেই, এই গরমে তীব্র দাবদাহের প্রকোপ। এমন পরিস্থিতিতে পড়ুয়ারা কীভাবে স্কুলে যাবে, ক্লাস করবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
উপরন্তু এই সময় চলছে উচ্চমাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির পরীক্ষা। এমন পরিস্থিতিতে স্কুল খোলা রাখা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করছেন শিক্ষা দফতরের কর্তারা। স্কুলে স্কুলে পাঠানো হচ্ছে প্রয়োজনীয় নোটিশ।
ইতিমধ্যেই স্কুলে স্কুলে পর্যাপ্ত জল এবং ওআরএস এর ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে।
এই প্রসঙ্গে এদিন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘প্রবল গরমে সঙ্গে কী করে মোকাবিলা করতে হবে তা নিয়ে আমরা নির্দেশিকা দিয়েছি। স্কুলের সময়ে এগিয়ে এনেছি। যদি প্রয়োজন বুঝি তাহলে গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হবে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, সোমবার সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। সেই কথা উল্লেখ করে ব্রাত্য বসু আরও বলেন, সোম মঙ্গলবার তা দেখেনি। আরেকটু পরিস্থিতি দেখে নিতে চাই।
প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই কলকাতা সাউথ পয়েন্ট স্কুল পড়ুয়াদের জন্য তিনদিন অনলাইন ক্লাসের নির্দেশিকা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। সপ্তাহের বাকি তিনদিন স্কুলে আসতে হবে।
একাধিক জেলার প্রাথমিক স্কুলে ক্লাসের সময়সীমাও কমিয়ে আনা হয়েছে। এখন শিক্ষা দফতর এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার বিষয়।