এতদিন বিরোধী দলেরা, বিশেষ করে বিজেপি অভিযোগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করছিলো যে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচন শান্তি পূর্ণ হবে কিনা।
এবার আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনে রবিবার বিকেলে উপনির্বাচনের জন্য হওয়া দলের এক কর্মীসভায় রাজ্যের শিল্প মন্ত্রী তথা তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বললেন, শান্তিতে ভোট হলে আমরাই জিতবো।
এই বিশ্বাস আমার আছে। তিনি দলের তরফে এদিন কর্মী ও নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কোন প্ররোচনায় পা দেবেন না।
তিনি আরো বলেন, আমাদের কলেজ জীবনে জনপ্রিয় অভিনেতা ছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
তিনি যে আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে তৃনমুল কংগ্রেসের প্রার্থী হবেন তা ভাবিনি। এমন একজন দক্ষ সংগঠক, যার জনমানসে ভালো ভাবমূর্তি আছে।
এমন একজনের জোরালো কন্ঠস্বরের মাধ্যমে সংসদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিবাদ পৌঁছাবে। রাজ্যের শিল্প মন্ত্রী বলেন, একটা সময় আসানসোল আমার কর্মস্থল ছিলো।
সেই শিল্প নগরী কিভাবে গত ১০ বছরে মৃত নগরীতে পরিনত হলো। কেন্দ্রের জনবিরোধী সরকার দেশের রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থাকে হয় বিক্রি করছে, নয়তো বন্ধ করে দিচ্ছে।
রেলকেও বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় নীতির কারণে এখানে বার্ণপুরের ইস্কো কারখানা ও চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা ধুঁকছে।
ইসিএলের কি হবে জানিনা। মানুষের জন্য যা সৃষ্টি ছিলো, তাকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। এখন সময় এসেছে, আসানসোলের মানুষদের জেতাতে হবে।
এক দঙ্গল লোক ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে তা শোধ না করে, এনপিএ করে বিদেশে পালিয়ে যাচ্ছে। এর পেছনে কেন্দ্রীয় সরকারের মদত রয়েছে।
তিনি বলেন, এই মুহুর্তে দেশে বিজেপি বিরোধী একমাত্র প্রতিবাদী কন্ঠস্বর হলেন এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে রূপনারায়নপুরের হিন্দুস্তান কেবলস্ সহ যেসব বন্ধ কলকারখানা আছে, তার জমিগুলি ব্যবহার করে নতুন শিল্প করার কোন সম্ভবনা আছে কিনা?
পরে এক সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্নের উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সরকারের কাছে ঐসব জমিতে বিকল্প শিল্প গড়ার আবেদন জানিয়েছেন।
যদি কেন্দ্র সরকার কিছু না করে, তাহলে রাজ্য সরকার বিকল্প শিল্প গড়ার কথা ভাববে।
এদিনের সভায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী মলয় ঘটক ও শ্রীকান্ত মাহাতো, শত্রুঘ্ন সিনহার স্ত্রী পুনম সিনহা, বিভিন্ন জেলার একাধিক বিধায়ক ও পশ্চিম বর্ধমান জেলার আইএনটিটিইউসি সভাপতি তথা আসানসোল পুরনিগমের ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক।