• facebook
  • twitter
Tuesday, 26 November, 2024

বিনা পয়সায় দেওয়া স্কুলড্রেসে বিশ্ববাংলা লোগো সরকারের ব্র্যান্ড, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলের ইউনিফর্ম নীল-সাদা রঙের হবে। স্কুলের পোশাকে থাকবে বিশ্ব বাংলার লোগো।

রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলের ইউনিফর্ম নীল-সাদা রঙের হবে। স্কুলের পোশাকে থাকবে বিশ্ব বাংলার লোগো। এই নির্দেশিকা জারি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য জুড়ে বিতর্ক চলছে।

শিক্ষামহল থেকে রাজনৈতিক মহলে সব মহলেই নানান চর্চা এই ইস্যুতে। এমনকী বিষয়টি আদালতের দোরগোড়াতেও পৌঁছে গিয়েছে।

মঙ্গলবার বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, স্কুলড্রেসে বিশ্ববাংলার লোগো দেওয়া বাংলার ‘অস্মিতা’কে তুলে ধরে।

বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠানে এসে স্কুল ইউনিফর্ম বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং।

জানিয়ে দিলেন, বাংলার নাম বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতেই বিশ্ব বাংলার লোগো স্কুল ইউনিফর্মে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে অহেতুক জলঘোলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের এক অনুষ্ঠানে এসে সরাসরি প্রশ্ন তোলেন মমতা, বিনা পয়সায় স্কুলড্রেস দিই। আর একটা লোগো থাকবে না সরকারের?

সেইসঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, বিশ্ব বাংলার লোগো তৃণমূল বা কোনও রাজনৈতিক দলের নয়। এটা রাজ্য সরকারের লোগো।

তাছাড়া কোনও বেসরকারি স্কুলের ইউনিফর্মেও এই লোগো ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে না তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো লোগো ব্যবহার করতে পারে। কেবল সরকারি স্কুলের ইউনিফর্মের কথাই বলা হয়েছে।

মমতা এদিন সাফ জানিয়ে দেন, রাজ্য সরকার সরকারি স্কুল পড়ুয়াদের বিনা পয়সায় ব্যাগ দিই, জুতো দিই। সেখানে স্কুল ড্রেসে সরকারি লোগো থাকলে আপত্তি কীসের?

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, কেন্দ্র সরকার যদি স্ট্যাম্প লাগাতে পারে, বাংলার সরকার কেন তা পারবে না? তাছাড়া ওরা তো ছবিও ব্যবহার করে।

আমরা তো তা করছি না উল্লেখ্য, এর আগে কোভিড টিকাকরণের শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি ছাপানো নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা।

প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই সরকারের দেওয়া স্কুলড্রেসে বিশ্ব বাংলার লোগো লাগানোর সরকারি নির্দেশিকাকে চালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন এক মামলাকারী।

সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, কে একজন কোর্টে গিয়ে বলে দিল, ওটা নাকি তৃণমূলের লোগো। খবরই রাখে না! বিশ্ব বাংলার এই লোগো আমি এঁকে দিয়েছিলাম। এজন্য কোনও পয়সা নিইনি।

আইন করে ওটা রাজ্য সরকারের নামে রয়েছে। সরকারি উদ্যোগে এই স্কুলড্রেস বানানো উদ্যোগের বিষয়টিও এদিন স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম বানান স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মানুষ।

এই পোশাক বাইরে থেকে না এনে যাতে রাজ্যের কিছু মানুষের কর্মসংস্থান করা যায়, সেই কারণেই রাজ্য সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে।

আর সেই কারণেই স্কুলের পোশাকে রাখা হয়েছে বিশ্ব বাংলার লোগো। বুধবার, নেতাজি ইন্ডার স্টেডিয়ামে বিধবা ভাতা প্রকল্পের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন সেই অনুষ্ঠান থেকে আরও আট লক্ষ বিধবা মহিলার পেনশন চালু করেন তিনি। এর আগে পর্যন্ত মোট তেরো লক্ষ বিধবা মাসে হাজার টাকা করে পেনশন পাচ্ছিলেন।

এবার আরও আট লক্ষ বিধবা মহিলা সেই তালিকায় যুক্ত হলেন। সব মিলিয়ে রাজ্যে এখন বিধবা ভাতা প্রাপকের সংখ্যা দাঁড়াল ২১ লক্ষ।