১৩৩ জন যাত্রীকে নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল চায়না ইস্টার্ন এয়ার লাইন্সের একটি বিমান বোয়িং ৭৩৭-৮০০। দক্ষিণ চিনের য়ুউনান প্রদেশের রাজধানী কুনমিং শহরের বিমানবন্দর থেকে উড়ান নিয়ে হংকং সীমান্ত লাগোয়া ওয়াংডং প্রদেশের রাজধানী ওয়াংজাউতে পৌঁছানোর কথা ছিল।
কুনমিং থেকে গুয়াংঝু গামী বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি ওয়াঙ্গশির যুজহো শহরের প্রত্যস্ত পাহাড়ি এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার চালাচ্ছে ভয়াবহ আগুনের গ্রাসে পাহাড়ের ওপর জঙ্গলে আগুন ধরে যায়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ‘বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি তেং প্রদেশের যুজহো শহরের প্রত্যন্ত এলাকায় ১৩৩ জন যাত্রী নিয়ে ভেঙে পড়ে। উদ্ধারকারীরা কোনও মানুষের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাকে কার্যত খারিজ করে দিয়েছেন।
কেননা, ভয়াবহ দুর্ঘটনায় বিমানের মধ্যে কারুর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা একেবারেই নেই।
বিমানটিতে ১২৩ জন যাত্রী , ১০ জন এ ছিল। ফ্লাইট রাডারের তথ্য অনুযায়ী, ১.১১ মিনিটে বোয়িং ৭৩৭ উড়ান নেয়। ২.২২ মিনিট পর্যন্ত বিমানের সঙ্গে রাডারের যোগাযোগ ছিল।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কুড়ি সেকেন্ড আগে পর্যন্তওই সময় বিমানটি ৩২২৫ ফুট উঁচুতে ছিল। ৩৭৬ নটিক্যাল মাইল গতিতে উড়ান ভরছিল।
বিমানটি যখন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তখন আকাশ আংশিক মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও দৃশ্যমানাতা পরিস্কার ছিল। তবে কি কারণে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ল তা এখনও জানা যায় নি।
চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের তরফে জানানো হয়েছে, ‘আমরা এই মুহুর্তে শুধু জানাতে পারি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ভেঙে পড়েছে।
উদ্ধারকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, বিমানটি রাডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আগুন লেগে বাঁশ গাছের ঝাড়ে ভেঙে পড়ে।
চিনের অসামরিক বিমান প্রশাসন ও বিমান সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, চায়না ইস্টার্ন এয়ার লাইন্সের বিমান বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ছ’বছরের পুরোনো বিমান’ প্রেসিডেন্ট জিংপিং বিমান দুর্ঘনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।