• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

পিকে’র স্ক্যানারে ধরা পড়লো মোদির চালাকি, ‘২৪-এর লড়াই হবে ২৪-এই’

পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশ হয়েছে গতকাল এর মধ্যে চার রাজ্যে ফের একবার গেরুয়া ঝড় উঠেছে। হাতছাড়া হয়েছে কেবল পাঞ্জাব।

পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশ হয়েছে গতকাল এর মধ্যে চার রাজ্যে ফের একবার গেরুয়া ঝড় উঠেছে। হাতছাড়া হয়েছে কেবল পাঞ্জাব।

নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই দিল্লির দলীয় সদর দফতর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন ২০২২ সালের নির্বাচনের ফলেই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের ফল নির্ণয় হয়ে গিয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর এই তত্ত্বকে মানতে নারাজ ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।

এদিন তিনি ট্যুইট করে বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনের ফল ২০২৪ সালের স্থির হবে। প্রধানমন্ত্রী বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মনোবল ভাঙার জন্যই এই প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।

চার রাজ্যে বিজেপি’র রেকর্ড জয়কে কটাক্ষ করেই এনি সকালে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ভারতেরজন্য লড়াই ও তার ফল ২০২৪ সালেই নির্ধারিত হবে অন্য কোনও রাজ্যের নির্বাচনের মাধ্যমে নয়। সাহেব এই কথা ভালভাবেই জানেন।

সে কারণেই তিনি রাজ্য বিধানসভার ফল নিয়ে চালাকি করছেন বিরোধী দলগুলির ওপর মনস্তাত্ত্বিক চাপ তৈরি করে তার সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এই ভুল ব্যাখ্যার ফাঁদে পা দেবেন না।

গতকালই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তরপ্রদেশ বিধনসভা নির্বাচনের ফলাফলের বলেছিলেন “উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের ফলই ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলের ঝলক দিচ্ছে।

২০১৭ সালের উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের ফলপ্রকাশ যখন হয়েছিল, তখন অনেকেই বলেছিলেন, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে।

আমি এটুকুই বলতে পারি যে, এবারও সেই তত্ত্বই জারি থাকবে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের ফলেই দেখা যাচ্ছে।”

২০২২ সালে পরপর দু’বার উত্তরপ্রদেশে একই দলের সরকার নির্বাচিত হওয়ার রেকর্ডকে তুলে ধরে তিনি বলেন উত্তরপ্রদেশ দেশকে অনেক প্রধানমন্ত্রী দিয়েছে।

কিন্তু উত্তরপ্রদেশে পাঁচ বছরের পুরনো কোনও সরকারকে ফিরিয়ে আনা এই প্রথম। বিগত ৩৭ বছর পর উত্তরপ্রদেশে প্রথম কোনও সরকার পরপর দু’বার ক্ষমতায় এল।

দেশের সবথেকে বড় রাজ্য হওয়ায় উত্তরপ্রদেশের মানুষের মতামত থেকেই গোটা দেশের মানুষের মতামতের আন্দাজ পাওয়া যায়।

উত্তরপ্রদেশে মোট ৮০টি লোকসভা আসন রয়েছে। ২০১৪ সালে বিজেপি’কে প্রথম ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করেছিলেন প্রশান্ত কিশোরই।

কিন্তু তার পরেই সম্পর্কে অবনতি তৈরি হয়। দল বদলে প্রশান্ত কিশোর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন ক নির্বাচনে জিততে সাহায্য করেছেন।