পাঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ থুবড়ে পড়েছে। অন্তর্কলহে জর্জরিত কংগ্রেস শিবির। পাঞ্জাব কংগ্রেসের দুই তাবড় নেতা চরণজিৎ সিং চান্নি পরাজিত হয়েছেন। প্রদেশ কংগ্রেস নভজ্যোৎ সিং সিধুর হারও প্রায় নিশ্চিত। পাঞ্জাবে ঝাড়ুঝড়ে কার্যত ধুয়েমুছে সাফ কংগ্রেস শিবির।
কংগ্রেসের এই ভরাডুবির মুখে ট্যুইট করেছেন নভজ্যোৎ সিং সিধু। হারের মুখে আম আদমি পার্টির বড় জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন কংগ্রেসের প্রধান।
ট্যুইটারে কেজরিওয়ালদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি লিখেছেন, মানুষের রায় হল পাঞ্জাব ভগবানের পাঞ্জাবের আমজনতার রায়কে মাথা পেতে নিচ্ছি আম আদমি পার্টিকে অভিনন্দন।
অমৃতসর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছিলেন নভজ্যোৎ সিং সিধু। নির্বাচনের কয়েক মাস আগে থেকেই পাঞ্জাব কংগ্রেসের অবস্থা যথেষ্ট টালমাটাল ছিল।
বারবার দলের কঙ্কাসলার চেহারা প্রকাশ্যে এসেছিল। শুরুটা হয়েছিল পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং এবং সিধুর মধ্যে বিবাদকে ঘিরে। তারপর ক্যাপ্টেন দল ছাড়ার পরে অনেকে মনে করেছিলেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হয়তো তিনিই হবেন।
সিধু নিজেও তেমনটাই আশা করেছিলেন। কিন্তু আম জনতার কাছে দলের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে কংগ্রেসের হাইকম্যান্ড থেকে মুখ্যমন্ত্রী পদে চান্নিকে বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারনা, হাইকম্যান্ডের সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিলেও চান্নির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কখনও মধুর ছিল না। একাধিকবার দলের তরফে সেই দ্বন্দ্ব ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তা কোনও দিনই শেষ হয়নি।
এমনকী এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের তরফে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন তা নিয়েও বারবার বেআব্রু হয়েছিল কংগ্রেসে দৈন্যদশা। সিধুর এই পদে থাকার উচ্চাকাঙ্খাই কি শেষ পর্যন্ত ভরাডুবির কারণ হয়ে উঠলো? এমন প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।