• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মানুষকে অসংখ্য ধন্যবাদ যোগী

বিপুল জয়ের পর বিকেলেই লখনউয়ের বিজেপি সদর দফতরে পৌঁছে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উত্তর প্রদেশের দিকে সকলের নজর ছিল।

যোগী আদিত্যনাথ (Photo: IANS)

দ্বিতীয় বারের জন্য সমাজবাদী পার্টির তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ আসন নিয়ে ক্ষমতা দখল করল বিজেপি। বিপুল জয়ের পর বিকেলেই লখনউয়ের বিজেপি সদর দফতরে পৌঁছে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উত্তর প্রদেশের দিকে সকলের নজর ছিল।

সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিপুল জয় পাওয়ার জন্য আমি মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরে সরকার তৈরি হবে। বলেন যোগী আদিত্যনাথ।

অন্যদিকে, বিজেপির জয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন অপর্ণা যাদব।” তাঁর শ্বশুরমশাইয়ের নিজে হাতে তৈরি দল সমাজবাদী পার্টি এবারের নির্বাচনে পরাজিত। ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুলায়ম যাদবের ছোট বউমা অপর্ণা যাদব।

উত্তর প্রদেশে বিজেপি জেতার পর তিনি জানিয়েছেন, হিন্দু-মুসলিম-শিখ-ইসাই সবার সঙ্গেই রয়েছে বিজেপি। উত্তর প্রদেশের মানুষ জাতপাত ও তোষণের রাজনীতিকে জবাব দিয়েছেন। আমরা জয় শ্রী রামের ওপর ভর করেই সরকার গঠন করব।

এর থেকে ভাল সরকার আর হতে পারে না। যোগী আদিত্যনাথ জয়ী। বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবার লড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী উত্তরপ্রদেশের আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশে পরিবর্তনের জন্য ব্যাপক প্রচার চালিয়েছিলেন বিরোধীরা।

কিন্তু, শেষ হাসি হাসলেন যোগী আদিত্যনাথই। গোরাখপুর আসন থেকে আরবান থেকে লড়াই। করেছিলেন এই দাপুটে রাজনীতিবিদ। ‘স্ব-আন্দাজ’-এ চেয়েছিলেন ভোট। জানা গিয়েছে, লাখের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি।

১৯৯৮ সালের লোকসভা নির্বাচনে গোরক্ষপুর আসন থেকে প্রথমবার ভোটে লড়েছিলেন তিনি। প্রথমবারেই জনতার দরবারে স্বসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। এরপর টানা পাঁচবার ১৯৯৯, ২০০৪, ২০০৯ এবং ২০১৪ কেন্দ্রীয় সালে লোকসভা নির্বাচনে গোরক্ষপুরের মানুষ তাঁকে জয়ী করেছিল।

২০১৭ সালে বিধান পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়ে UP-র মসনদে বসেন যোগী। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার পর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে লখিমপুর খেরির ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা রাজ্য।

মন্ত্রীপুত্রের বেলাগাম গাড়ি কৃষকদের পিষে দিয়েছিল, অভিযোগ ছিল এমনটাই। এই ঘটনা অনেকটাই ব্যকফুটে ঠেলে দিয়েছিল বিজেপি-কে। কিন্তু, এরপরেই স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আশ্বাস দিয়েছিলেন, এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। যদিও মোদী, যোগীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন বিরোধীরা।

অখিলেশ যাদব, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সহ বিরোধী নেতানেত্রীরা পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু, ভোটের ফলাফল বলছে অন্য কথা। যোগী ম্যাজিক আজও অব্যাহত, বলছে ফলাফল।