• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

রুশ সাঁজোয়া বাহিনীর ঘেরাটোপে ইউক্রেন

পঞ্চম দিনে পা দিল যুদ্ধ।কিন্তু এখনও দুর্জয় ঘাঁটি কিয়েভ রাশিয়া থাবা বসাতে পারেনি কিয়েভে।ইউক্রেনের সেনা কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে পুতিন বাহিনীকে।

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি (Photo: SNS)

পঞ্চম দিনে পা দিল রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ। কিন্তু এখনও দুর্জয় ঘাঁটি কিয়েভ রাশিয়া থাবা বসাতে পারেনি কিয়েভে। ইউক্রেনের সেনা কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে পুতিন বাহিনীকে। সূত্রের খবর বলছে, রাশিয়ার ভয়ঙ্কর চেচেন বাহিনীকে গুড়িয়ে দিয়েছে তারা।

কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে দমে যেতে নারাজ রুশ প্রেসিডেন্টও। আরও বেশি সংখ্যক সেনা পাঠাচ্ছে ক্রেমলিন। উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে সেই ভয়ানক ছবি। আটঘাঁট বেঁধে বৃহস্পতিবার রাতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, পুতিনের পরিকল্পনা ছিল চারদিনের মধ্যে ইউক্রেন দখল। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়নি। চারদিক কেটে গেলেও রাজধানী কিয়েভ, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকভ দখলে ব্যর্থ পুতিন বাহিনী।

যুদ্ধের ভয়াবহতা বাড়াতে, সহজে জয় পেতে ইউক্রেন সীমান্তে চেচেন সেনা পাঠিয়েছিল রাশিয়া। তাদেরও গুড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেন। কিয়েভের পালটা মারে প্রাণ গিয়েছে চেচেন জেনারেল মাগোমেদ তুশায়েভরও।

তবু দমতে রাজি নয় রাশিয়া। আরও সৈন্য পাঠাচ্ছে তারা। ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইতিমধ্যে ৩৫২ জন ইউক্রেনীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ জন শিশুও রয়েছে।

মার্কিন স্যাটেলাইটে ধরা পড়া ছবি দেখে আতঙ্কিত ইউক্রেনবাসী। রুশ সাঁজোয়া বাহিনীকে কিয়েভের পথে অগ্রসর হতে দেখা গিয়েছে সেই উপগ্রহ ছবিতে। শেষ প্রকাশিত ছবি অনুযায়ী, প্রায় পাঁচ কিমি দীর্ঘ ওই সাঁজোয়া বাহিনী কিয়েভ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে।

এই বাহিনীতে রয়েছেন পদাতিক সেনা, ট্যাঙ্ক, জ্বালানির জোগান এবং সাঁজোয়া গাড়ি। বেলারুশে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা শুরুর প্রাক মুহূর্তে এই ছবি সামনে এসেছে। যা ঘিরে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভ্লোদিমির জেলেনস্কি ইতিমধ্যে এই আলোচনাকে রাশিয়ার ছল বলে মন্তব্য করেছেন আগামী ২৪ ঘণ্টা ইউক্রেনবাসীকে সতর্ক থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এদিকে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার সময় পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইউক্রেনে প্রতিনিধি সীমান্তে পৌঁছে গিয়েছে। তাঁদের দাবি, এখনই যুদ্ধ থামানো হোক।

পুতিনের পরিকল্পনা ছিল চারদিনের মধ্যে ইউক্রেন দখল। চারদিক কেটে গেলেও রাজধানী কিয়েভ, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকভ দখলে ব্যর্থ পুতিন বাহিনী।