আগামী ২ মার্চ রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভার ভোটের ফলাফল ঘোষণা। পাশাপাশি ৩ মার্চ উত্তরপ্রদেশের ভোটপ্রচার বারাণসীতে থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই রাজ্য বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন পিছিয়ে দেওয়া হল।
বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিষদীয় দফতর ও বিধানসভার মধ্যে আলোচনা করে ২ মার্চ অধিবেশন শুরুর দিন ধরেই কাজকর্ম অএনক দূর এগিয়ে গিয়েছিল।
কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে দেখা গিয়েছে, ২ তারিখে অধিবেশন শুরু করা হলে তাতে অংশ নিতে পারবেন না রাজ্যের বেশিরভাগ বিধায়ক।
কারণ পুরভোটের কারণে শাসক বিরোধী উভয় দলের বিধায়করা ব্যস্ত থাকবেন।
পাশাপাশি, সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী বারাণসী যেতে পারেন দু’তারিখ বিকেলে।
পরদিন সেখনেই তাঁর একটি জনসভা ও সাংবাদিক বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। তাই নবান্নের সঙ্গে কথা বলে পরিষদীয় দফতর ও বিধানসভা অধিবেশনের দিন পিছিয়ে সাত তারিখ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, আগামী সাত মার্চ রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে। ওইদিন রাজ্যপাল জগদীশ ধনখড়ের বাজেট বক্তৃতার মাধ্যমে এই অধিবেশন আরম্ভ হওয়ার কথা।
সেই মতো সূচি মেনে নবান্নের তরফে ভাষণের খসড়া তৈরির প্রস্তুতির কাজ চলছে।
সাত তারিখে বাজেট বক্তৃতার পরের দিন শোকপ্রস্তাব হয়ে শেষ হয়ে যাবে অধিবেশনের কাজ। তারপর ৯ মার্চ রাজ্য বাজেট পেশ করা হতে পারে বলেই সূত্রের খবর।
যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী বর্তমানে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে, তাই বাজেট পেশ করতেন পারেন তিনিই। তবে গতবার বাজেট পেশ করেছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পরিষদীয় আইনে অর্থমন্ত্রীর বদলে পরিষদীয় মন্ত্রীর বাজেট পেশ করার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার বলেই বাজেট পেশ করেছিলেন পার্থ।
তবে বাজেট পেশের তারিখটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেই প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে।
আগে ঠিক হয়েছিল ২ মার্চ বাজেট অধিবেশন শুরু করা হবে। সেই মতো নবান্ন ও পরিষদীয় দফতরের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন সেই সূচি নতুন করে তৈরি হচ্ছে।
অধিবেশন কবে শেষ হবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না বিধানসভার সচিবালয়। পরিবর্তিত সূচি ঠিক করে সাত তারিখ অধিবেশন শুরুর বিষয়ে নির্দিষ্ট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে রাজভবনে।
রাজ্যপাল সংবিধান মেনে ওই সূচি অনুযায়ী অধিবেশন ডাকার নোটিশে স্বাক্ষর করবেন বলে আশা করছে প্রশাসনের কর্তারা।
বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সাত তারিখ অধিবেশন আরম্ভ হওয়ার কথা রয়েছে। আশা করব, রাজ্যপাল বিধি মেনে প্রয়োজনীয় নোটিস বা সমন জারি করবেন।’
গত সপ্তাহেই বিগত বিধানসভার অধিবেশনের সমাপ্তি ঘোষণা করে দিয়েছেন রাজ্যপাল।