উত্তরপ্রদেশের প্রথম পর্বের বিধানসভা নির্বাচন শুরু আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি। সেখানে যোগীরাজের বিরুদ্ধে সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রচার করতে সোমবার বিকেলে দমদম বিমানবন্দর থেকে লখনউ রওনা হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ মঙ্গলবার সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে যৌথ ভার্চুয়াল সভা করবেন তিনি। মোদির কেন্দ্র বারাণসীতেও যাওয়ার কথা রয়েছে মমতার। বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়ে মমতা বললেন, আমি চাই সমাজবাদী পার্টি জিতুক, বিজেপি হারুক।
মমতা জানিয়ে দেন, অখিলেশ যাদবের আমন্ত্রণে ওদের হয়ে প্রচার করতে যাচ্ছি। জোটে লড়লে ভালো হত, কিন্তু এখন আর ভোট কেটে লাভ নেই। তাই উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি তৃণমূল।
প্রসঙ্গত এবার উত্তরপ্রদেশে ভোটে লড়ছে না তৃণমূল। দলের নীতিই হয়েছে, যেখানে বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দল জোরদার, সেখানে সেই দলকেই সমর্থন জানাবে তৃণমূল। তাই মমতা এদিন জানিয়ে দেন, অখিলেশরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়ছেন। তাই আমি ওদের সমর্থনে প্রচার করতে, ওদের হাত শক্ত করতে যাচ্ছি।
পাশাপাশি বিজেপি বিরোধী দলগুলিকেও এদিন আহ্বান জানিয়ে মমতা বলেন, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে সমাজবাদী পার্টিকে সমর্থন করুন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময়েও পশ্চিমবঙ্গের সব আসনে তৃণমূলকে সমর্থন জানিয়েছিলেন অখিলেশ যাদব।
গত ১৮ জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পরে অখিলেশের দূত কিরণময় নন্দ জানিয়েছিলেন মমতা-অখিলেশের লখনউতে যৌথ সভা করার কথা। বারাণসীতেও একইভাবে সাংবাদিক বৈঠক এবং ভার্চুয়াল সভা করার কথা তাঁদের।
তবে উত্তরপ্রদেশের প্রার্থী না দিলেও আর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য গোয়ার বিধানসভা ভোটে লড়ছে তৃণমূল। পাঞ্জাবের আসন্ন ভোটেও যে তৃণমূল প্রার্থী দেবে, সেকথা সোমবার জানিয়ে দিলেন তৃণমুল সুপ্রিমো।
এই প্রসঙ্গে মমতা সোমবার কংগ্রেসের নাম না করে বলেন, আমরা চেয়েছিলাম, সব রাজ্যেই বিজেপি’র বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই হোক। কিন্তু সকলে তা চায়নি। একুশের নির্বাচনে তৃণমূল বিপুল সাফল্য নিয়ে ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই বেশ কয়েকটি রাজ্যে সংগঠন সাজানোর কাজ শুরু করেছে জোড়াফুল।
এর মধ্যে পাঞ্জাব এবং গোয়াতে প্রার্থী দিলেও মূলায়েম সিং যাদবের পুত্র অখিলেশ যাদবকে সমর্থন করতেই তাঁর পাশে দাঁড়াচ্ছেন বলেন সোমবার বিমানবন্দরে জানিয়ে দেন মমতা। সোমবার বিমানবন্দরে মমতারে রাজ্যের নতুন বিমানবন্দরের জমি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে।
সেখানেই মমতা সাফ জানিয়ে দেন, জোর করে কারও জমি নিয়ে বিমানবন্দর তৈরি করা হবে না। এই বিষয়ে তিনি মালদহ, বালুরঘাট, কোচবিহার বিমানবন্দরের কথা উল্লেখ করে মমতা জানান, এইসব বিমানবন্দর তো তৈরি।
কিন্তু পরিষেবা চালু করতে কেন্দ্রীয় অনুমোদন দরকার। তবে রাজ্যে নতুন বিমানবন্দর তৈরির জন্য কোনও কৃষকের জমি জোর করে অধিগ্রহণ করা হবে না।