• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

মুষ্ঠাযোদ্ধা মোদির ঘায়ে কুপোকাত আদবানি : রাহুল

বিগত সাধারণ নির্বাচনে হিন্দুস্থান এক নতুন মুষ্টিযােদ্ধা উপহার  দিয়েছে। যিনি দারিদ্র্য, দুনীতি ও কৃষক সমস্যার মুখােমুখি। দেশের জনগণ এই মুষ্ঠিযােদ্ধার দুনীতি, কৃষক সমস্যা ও দারিদ্র্য দূরকরার কৌশল দেখতে জমায়েত হন।

রাহুল গান্ধি (Photo: IANS)

বিগত সাধারণ নির্বাচনে হিন্দুস্থান এক নতুন মুষ্টিযােদ্ধা উপহার  দিয়েছে। যিনি দারিদ্র্য, দুনীতি ও কৃষক সমস্যার মুখােমুখি। দেশের জনগণ এই মুষ্ঠিযােদ্ধার দুনীতি, কৃষক সমস্যা ও দারিদ্র্য দূরকরার কৌশল দেখতে জমায়েত হন। সেখানে আবার হাজির তাঁর প্রশিক্ষক হিসেবে এল কে আদবানিজি এবং নীতিন গড়কড়ি সহ সমুদয় দল। কিভাবে তাদের মুষ্ঠিযােদ্ধা সকলের অ্যাকাউন্টে ১৫ লাখ টাকা করে পাঠান সেটা দেখাই ছিল সকলের মূল আকর্ষণের বিষয়।

মুষ্ঠিযােদ্ধাতাে যথারীতি সমর্থকদের হাততালির মধ্যে দিয়ে রিংয়ে ঢুকলেন। এবং হাওয়ায় কয়েকবার তাঁর মুষ্ঠি আস্ফালন করলেন। কিন্তু সকলকে হতচকিত করে তিনি প্রথমেই তাঁর প্রশিক্ষকের মুখেই ঝাড়লেন এক বিরাশি সিক্কার ঘুঁসি। আদবানিজি আর কি করেন। এর পর তিনি তাঁর দলের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি ধাবমান হলেন, একে একে গড়কড়িজি, অরুণ জেটলিজির দিকে। পাকড়াে, পাকড়াে, পাকড়া। কিন্তু তাঁদের ধরতে না পেরে তিনি শূন্যেই ঘুসি ছুঁড়ে দিলেন।

এল কে আদবানিজি বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। গান্ধিনগর নির্বাচন ক্ষেত্রের ছয়বারের সাংসদ আদবানিজিকে বাদ দিয়ে মার্চ মাসে দলের সভাপতি অমিত শাহকে প্রার্থী ঘােষণা করা হল।

মানুষ নরেন্দ্র মােদির আস্ফালন দেখছেন, এরপর তিনি রিং থেকে নামলেন। মানুষ তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাে কেন তিনি ময়দান ছেড়ে চলে যাচ্ছেন কারণ তার তখনও অনেকের সঙ্গে লড়াই বাকি। কিন্তু তিনি মানুষের মাঝে গিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মুখে একবার নয় দু’দু’বার মারলেন ঘুসি। ‘নােট বন্দি’ ও ‘গবুর সিং ট্যাক্স’। এরপর তিনি কৃষকদের দিকে ফিরলেন। কৃষকরা অনুনয় করতে লাগলেন, ‘বক্সার সাব-অনুগ্রহ করে আপনি আবার রিংয়ে ফিরে গিয়ে আমাদের সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করুন। ঋণ মকুবের ব্যবস্থা করুন।’ আবার তিনি কৃষকদের মুখে মারলেন ঘুসি। ফলে সকলেই হতচকিত। তিনি জানেন না রিংয়ের ভেতরেই লড়াই করতে হয়, না হলে খেলার পরিচালক তাঁকে বাতিল বলে গণ্য করতে পারেন।

রাহুল গান্ধি সােমবার হরিয়াণার ভিওয়ানিতে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে এমনই এক গল্প ফেঁদে বসেন। তিনি বলেন, নােটবন্দি ও অবমূল্যায়নের ফলে দেশের ব্যবসা আজ তলানীতে এসে ঠেকেছে। দ্রব্য ও পরিষেবা কর দেশে আরােপ করা হয়েছে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে। এতেও ব্যবসার চরম ক্ষতি হয়, সাময়িকভাবে হলেও।