বঙ্গ রাজনীতিতে কখন যে কী ঘটে, তা বলা সহজ নয়। তবে খোদ প্রতিপক্ষ দলের শীর্ষনেতার প্রশংসা করছেন শাসক দলের দাপুটে নেতা এমনটা সচরাচর দেখা যায় না। কিন্তু বাস্তবে হল তাই।
শনিবার বোলপুর তৃণমূল কার্যালয়ে খয়রাশোল, লোকপুর এলাকার বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থক বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করে।
এই যোগদান উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিতে অনুব্রত মণ্ডল আচমকাই বলে বসেন, ‘বিজেপির রাজ্য সভাপতি ভালো সভাপতি।
একটার পর একটা বাদ দিয়ে দিচ্ছে, স্ট্যামিনা আছে বলতে হবে। সুকান্তবাবুকে আমি ধন্যবাদ জানাই। গুড ডিসিশন। কিছু করলেই ফেলে দাও।’
বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষকে বার বারই নিশানা করেছেন অনুব্রত। বদ্ধার বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন অনুব্রত।
কিন্তু আচমকাই বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতির প্রতি কেন সদয় হলেন অনুব্রত, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। সামনেই শিলিগুড়ি সহ চার পুরনিগমের ভোট রয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের তৃণমূলের হয়ে প্রচারে যাওয়ার কথা।
এই প্রসঙ্গে অনুব্রত জানান, শরীর ভালো থাকলে প্রচারে যাব। খয়রাশোলে অবৈধভাবে মজুত করা কয়লা চুরি নিয়ে এদিন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বীরভূম তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘অসামাজিকভাবে কয়লা চুরি করবে, পুলিশের গাড়ি ভাঙবে, এসব মানব না। এত সাহস কী করে হয়? ৪০ টন কয়লা চুরি করে রেখে দেওয়া হচ্ছে। এসব মানব না। যারা এসব করছে তাদের শাস্তি হবে।’