• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

বিমা ছাড়া নগদ বিলে হাসপাতালকে ছাড় দেওয়ার নির্দেশ কমিশনের

স্বাস্থ্য কমিশন বলেন, স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশিকা মেনেই রাজ্যের সব বেসরকারি হাসপাতালকে চিকিৎসায় নগদ বিল মেটানোর ক্ষেত্রে ছাড় দিতে হবে।

প্রতীকী ছবি (File Photo: iStock)

সোমবার একটি অভিযোগের শুনানিতে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে স্বাস্থ্য কমিশন বলেন, স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশিকা মেনেই রাজ্যের সব বেসরকারি হাসপাতালকে চিকিৎসায় নগদ বিল মেটানোর ক্ষেত্রে ছাড় দিতে হবে।

কোনও অজুহাতেই সেই ছাড় থেকে রোগীকে বঞ্চিত করা যাবে না। এছাড়াও বলা হয়, কীভাবে ওই ছাড়ের ব্যবস্থা করা হবে শীঘ্রই হলফনামা আকারে তা জানতে চাওয়া হবে বেসরকারি হাসপাতালগুলির কাছে।

প্রসঙ্গত অসমের শিলচরের বাসিন্দা দেবযানী মন্ডল একাধিক সমস্যা নিয়ে বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসা খরচ বাবদ হাসপাতাল বিল করে ১৪ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে তিন লক্ষ টাকা মিটিয়ে দেয় বিমা সংস্থা।

এইদিন মৃতার পরিবার দাবি করেন, তুলনায় অনেক বেশি বিল করেছে হাসপাতাল। এমনকি খরচও অনেক বেশি বেশি করে ধরা হয়েছে। জানা যায় হাসপাতালের ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য কমিশনে মামলা করেন দেবযানীর মেয়ে অন্বেষা মন্ডল।

তাঁর দাবি, ওষুধ-সহ বিভিন্ন পরীক্ষার ক্ষেত্রে নির্দেশিকা না মেনে বেশি টাকা বিল করা হয়েছে। সোমবার ওই মামলাটির শুনানি ছিল কমিশনে। শুনানিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, বিলের জন্য একটি নির্দিষ্ট সফটওয়্যার রয়েছে। সেখানেই সব ক্ষেত্রের খরচ ধরা রয়েছে। ফলে স্বয়ংক্রিয় ভাবেই বিল আসে।

বিশেষ করে বিমার ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিই অবলম্বন করা হয়। তাই বিমার হারেই অন্য সব ক্ষেত্রে খরচ ধরা হয়েছে। ফলে এ ক্ষেত্রে বিমা বাদে ১১ লক্ষ টাকা বিল হয়েছে। কিন্তু কমিশন জানায়, ওই পদ্ধতি সঠিক নয়। বিমা ছাড়া বিল করতে হলে সেখানে ছাড় দেওয়া বাধ্যতামূলক।

ওষুধ-সহ অন্যান্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে নির্দেশিকা না মানার জন্যই বেশি টাকা বিল হয়েছে। এরপরই ওই হাসপাতালকে কমিশন স্পষ্ট নির্দেশ দেয়, প্রয়োজনে সফটওয়্যার বদলাতে হবে। না হলে হাতে লেখা বিল ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু ছাড় দিতেই হবে।

এই বিষয়ে ওই হাসপাতালকে এক মাস সময় দেয় কমিশন। তার মধ্যে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল তা হলফনামা আকারে জানাতে বলা হয়েছে। শুধু ওই হাসপাতাল নয়, বাড়তি বিল করার অভিযোগ ওঠে শহরের অন্য কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিরুদ্ধেও। তাই এই বিষয়টি নিয়ে কড়া অবস্থান নেওয়া প্রয়োজন মনে বলে করছে কমিশন।

তাদের বলেন, আগামিদিনে রাজ্যের সব বেসরকারি হাসপাতালের কাছে বিল নিয়ে হলফনামা চাওয়া হবে। সেই হলফনামায় উল্লেখ করতে হবে কোথায়? কত? কীভাবে? খরচ ধরা হয়েছে।