• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

গ্রামোন্নয়নে বরাদ্দ বাড়তে পারে রাজ্য বাজেটে

আগামী বছরের শুরুতেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজ্য প্রশাসনে। কারণ, গ্রামীণ রাজনীতিই নির্ধারণ করে রাজ্যের ক্ষমতার ভরকেন্দ্র।

আগামী বছরের শুরুতেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজ্য প্রশাসনে। কারণ, গ্রামীণ রাজনীতিই নির্ধারণ করে রাজ্যের ক্ষমতার ভরকেন্দ্র। তাই এখন থেকেই পঞ্চায়েত দফতর কাজে গতি এনেছে।

সূত্রের খবর, আগামী বছর পঞ্চায়েত ভোটের কথা মাথায় রেখেই গ্রামোন্নয়নের ক্ষেত্রে বাজেট বাড়ানো হতে পারে। তাই চলতি অর্থবর্ষে হাতে থাকা বরাদ্দ খরচে গতি এনেছে পঞ্চায়েত দফতর।

নতুন বাজেট পেশ হলে, সেই অর্থ দিয়ে এপ্রিল মাস থেকেই কাজ শুরু করা যাবে। তাই চলতি অর্থবর্ষের কোনও বরাদ্দ যাতে পঞ্চায়েত দফতরে পড়ে না থাকে, সেই বিষয়ে দফতরকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী পুলক রায়।

তাই পঞ্চ দশ অর্থ কমিশন থেকে পাওয়া প্রথম কিস্তির টাকা পঞ্চায়েত স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েতে পৌঁছে দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে পঞ্চায়েত দফতর।

পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের প্রথম কিস্তিতে মোট ১ হাজার ৭৬৬ কোটি টাকা গ্রামোন্নয়নে খরচ করেছে পঞ্চায়েত দফতর। এই পরিমাণ অর্থের ১৫ শতাংশ জেলা পরিষদ, ১৫ শতাংশ পঞ্চায়েত সমিতি ও ৭০ শতাংশ দেওয়া হয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা মুলত দু’ভাগে আসে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে। বরাদ্দ টাকার প্রায় ৬০ ভাগ খরচ করতে হয় গ্রামের পানীয় জল, নিকাশি, সেচ, শৌচাগারের মতো পরিকাঠামোর উন্নয়নে।

বাকি ৪০ শতাংশ টাকা ব্যয় হয় নতুন রাস্তা তৈরি, পুরনো রাস্তা সংস্কার, কালভার্ট ও ছোট সেতু নির্মাণের মতো কাজে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের টাকা দেওয়া হল জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে। ৩১ মার্চ এই অর্থবর্ষ শেষ হবে।

এই টাকা পেয়েছে রাজ্যের ২১ টি জেলার ৩২২৯ টি গ্রাম পঞ্চায়েত। এ বার তাই গ্রামোন্নয়নে গতি আনতে আগামী অর্থবর্ষের বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

কারণ আগামী এক বছরে গ্রামীণ জনতাকে নিজেদের দিকে টানতে গ্রামের উন্নয়নকেই হাতিয়ার করবে রাজ্যের শাসকদল। যদিও বর্তমানে সব ক’টি জেলা পরিষদ-সহ বেশির ভাগ পঞ্চায়েতই তৃণমূলের দখলে। কিন্তু তার পরের বছরই ২০২৪ সালের লোকসভা ভোট।

২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের পরের বছরই ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ধাক্কা খেয়েছিল বাংলার শাসকদল। এ বার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে দিতে নারাজ রাজ্য সরকার।