২০২০ সালে বাণিজ্যিক ভাবে মুক্তি পেতে চলেছে অর্পণ বসাকের নতুন ছবি ‘প্রতিফলন’।
দৈনিক স্টেটসম্যান ওয়েবসাইটকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁর এই নতুন ছবি সম্পর্কে বেশ কিছু নতুন ভাবনার কথা বললেন পরিচালক ।
‘প্রতিফলন’ আর্য নামে এক গ্রামের ছেলের নিজেকে খুঁজে পাওয়ার গল্প। তার এই একান্ত যাত্রার মধ্যে দিয়ে অর্পণ সমাজের কিছু স্টিরিওটাইপের সামনে আয়না ধরার চেষ্টা করেছেন।
আর্য চরিত্রটিতে অভিনয় করেছেন সুপ্রতীম সাহা এবং অপর এক মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন সায়ন্তনী দেব।চরিত্রটির নাম রিমি।
মূলত জেন্ডার এবং পেশার পারস্পরিক সম্পর্কের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতার ক্ষুদ্র সীমা লঙ্ঘন করার গল্প ‘প্রতিফলন’।অর্পণের ভাষায়,’’পেশার কোন জেন্ডার নেই’’।
গ্রামের ছেলে আর্যর স্বপ্ন মেক-আপ আর্টিস্ট হওয়ার, তার এই স্বপ্নের প্রতিবন্ধকতা গ্রামের মানুষের একপেশে পুরুষতান্ত্রিক ভাবনা।তাদের কাছে এই ‘রং মাখার’ পেশা আর্যকে নপুংসক হিসেবে চিহ্নিত করার এক হাতিয়ার মাত্র।
মাকে মেক-আপ করতে দেখে বড় হয়ে ওঠা এই ছেলেটির প্যাশনকে আঁকড়ে ধরে নিজেকে আবিষ্কার করার গল্প এই ছবিটি।তবে আর্যকে আলাদা দেখালেও তাকে সমকামী হিসেবে দেখাননি অর্পণ।
পুরুষ শব্দটির সঙ্গে যেসব ধারণা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে সেই স্টিরিওটাইপগুলোকে আয়নার মাধ্যমে দর্শকের সামনে তুলে ধরাই এই ছবির মূল উদ্দেশ্য।তাই পরিচালকের মতে দর্শক ছবি শেষে বুঝবেন এই গল্প তাঁদের সকলের।
রিমি চরিত্রটিকে পরিচালক প্রেমিকার পরিবর্তে আর্যর জীবনের ‘অক্সিজেন’ হিসাবে তুলে ধরতে চেয়েছেন।লিঙ্গনির্ভর চিরাচরিত সম্পর্কের বদলে পারস্পরিক সাপোর্ট সিস্টেম হিসাবে কাজ করা এই সম্পর্কের প্রাণ।
এর আগেও ছবির জগতের মানুষগুলোকে নিয়েই কাজ করেছেন অর্পণ।তাঁর স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি ‘ইনার মি’তে এক মডেলের জীবন তুলে ধরেছেন তিনি।ক্যামেরা এবং ছবির পিছনের মানুষগুলোর লড়াইকে ক্যামেরার সামনে নিয়ে আসতে চান তিনি।
এই কারণে এক অভিনব পদক্ষেপও নিয়েছেন,ছবি শেষে ‘এন্ড ক্রেডিট’ দেখানোর মাঝে থাকছে ভয়েস ওভার এবং দর্শকদের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করার অনুরোধ।
সম্প্রতি পোস্টার রিলিজ হলেও আগামী অগাস্ট মাসে ছবিটির ট্রেলার লঞ্চ হবে। ছবির কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক নিজেই।সংগীত পরিচালনা করেছেন পীযূষ দাস। মেকআপ করেছেন অর্ণব দাস ও প্রলয় কর্মকার।