• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

সঞ্জীবন হাসপাতালে ক্যাথল্যাবের উদ্বোধক দেব, স্বাস্থ্য সাথীতে অত্যাধুনিক হার্টের চিকিৎসা

এদিন অভিনেতা দেব বলেন সঞ্জীবন হাসপাতালে না আসলে জানতেই পারতাম না এইরকম একটি অত্যাধুনিক বিশ্বমানের হাসপাতাল গড়ে উঠেছে হাওড়ার ফুলেশ্বরে।

সম্প্রতি উলুবেড়িয়া ফুলেশ্বরে সঞ্জীবন হাসপাতালে বিশ্বমানের অত্যাধুনিক ক্যাথল্যাবের উদ্বোধন করলেন মেদিনীপুর ঘাটালের সাংসদ ও অভিনেতা দীপক অধিকারী (দেব)।

কলকাতা থেকে কিছুটা দূরে হাওড়ার সঞ্জীবন হাসপাতাল এখন গরিব মানুষের নাগালের মধ্যে। যেখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় সব রকম চিকিৎসার সুযোগ আছে।

সঞ্জীবন হাসপাতাল কর্ণধার ডঃ শুভাশিস মিত্র বলেন হার্টের সমস্যা এবং সব রকম সমস্যার সমাধানের জন্য সঞ্জীবন হাসপাতাল। এখানে অ্যাঞ্জিওগ্রাফি থেকে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি পেসমেকার বসানো সবটাই হাসপাতালের ক্যাথল্যাব ইউনিট থেকে সম্ভব।

স্টেট অফ দ্য আর্ট ফেসিলিটি এবং অত্যাধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার করে রোগীদের দ্রুত সুস্থ করা হয়।

ইতিমধ্যেই প্রায় চারশোর বেশি মানুষের সফলভাবে অ্যাঞ্জিওগ্রাফি, অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি ও পেসমেকার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে সরকারি হাসপাতালের মত সব রকম সুযোগ-সুবিধা বিনা পয়সায় পাওয়া যাবে।

এদিন অভিনেতা দেব বলেন সঞ্জীবন হাসপাতালে না আসলে জানতেই পারতাম না এইরকম একটি অত্যাধুনিক বিশ্বমানের হাসপাতাল গড়ে উঠেছে হাওড়ার ফুলেশ্বরে।

তিনি বলেন যে চিকিৎসা পেতে মানুষ দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও কলকাতায় ছুটছে, সেই চিকিৎসা উলুবেড়িয়ার ফুলেশ্বরের সঞ্জীবন হাসপাতালে পাওয়া যাবে।

হাওড়া, দুই মেদিনীপুর, নদীয়া ও বাঁকুড়ার মানুষ যারা এতদিন কলকাতা অন্যান্য জায়গায় ছুটছিল ভালো চিকিৎসার জন্য, এখন তারা সঞ্জীবন হাসপাতালে আসতে পারেন।

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে এখানে সম্পূর্ণ বিনা অত্যাধুনিক চিকিৎসা পয়সায় চিকিৎসা করা হয়। তিনি আরও বলেন মন্দিরে দেবতা থাকেন না। থাকে হাসপাতালে। সঞ্জীবন হাসপাতালে গলায় স্টেথোস্কোপ নিয়ে দেবতারা ঘুরছেন।

তারাই মানুষের জীবন বাঁচাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় বিগত দুই বছর ধরে করোনা পরিস্থিতিতে সঞ্জীবন হাসপাতালের কর্মীরা মরণপণ লড়াই করে শত শত মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে।

৫১০ বেডের হাসপাতাল পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছিল করোনা পরিস্থিতিতে। আপৎকালীন সময়ে তাদের বেডের সংখ্যা আরো বাড়াতে হয়েছিল। বহু পুলিশ অফিসার থেকে শুরু করে প্রশাসনের বড় বড় কর্তারা করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে।

এই হাসপাতালের চিকিৎসায় সঞ্জীবন হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডঃ ডালিয়া মিত্র বলেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা শুধু মানুষের জীবন ফিরিয়ে দেওয়া নয় তারা মানুষের জীবন গড়ার কাজেও সামিল হয়েছেন।

মহামারীর সময় বোঝা গেছে আমাদের দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কতটা দুর্বল। তাই হাসপাতালের উদ্যোগে তৈরি করা হচ্ছে প্রচুর স্বাস্থ্যকর্মী এবং নার্স।

জিএনএম ও বিএসসি নার্সিং কোর্স চালু করেছে সঞ্জীবন হাসপাতাল। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি থাকার সুবাদে শিক্ষার্থীরা হাতে কলমে কাজ শেখার সুযোগ পাচ্ছে। যেটা অন্য কোথাও সম্ভব নয়।

হাসপাতালের কর্ণধার ডঃ শুভাশিস মিত্র বলেন প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ে যেমন বহু মানুষকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠিয়েছি তেমনি তৃতীয় ঢেউ সামলাতেও আমরা প্রস্তুত আছি। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন হাওড়া জেলার একাধিক বিধায়ক ও প্রশাসনের কর্তারা।